মোঃ রিপন হাওলাদার:
রাজধানীর মধ্য বাড্ডা আদর্শ নগর এলাকা থেকে অসংখ্য লোকজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে স্ত্রী রেখে আহিনুর রহমান (৬২)নামে এক ব্যক্তি উধাও হয়েছেন।এমন অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী নারী ইয়াসমিন বেগম (৩৭)।মহাখালী সাত তলা বস্তি এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাসের সুবাধে পরিচয় হয় অভিযুক্তের সাথে ভূক্তভোগীর।একপর্যায়ে দুই বছর আগে নীলফামারী জেলার-জলঢাকা থানার গুরমুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা আহিনুর রহমান পিতা-জিল্লু মামুদ মাতা-আহেলা বেগম এর সাথে মহাখালী কাজী অফিসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অভিযোগকারী ইয়াসমিন।নিজের কিছু অটোরিকশা ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা ইয়াসমিন স্বামীর বিভিন্ন প্রয়োজনে তা বিক্রি করে সমস্যা নিবারণে সহায়তা করেন তিনি।স্বামীর নানা রকম অজানা কারণে এলাকা ছেড়ে বাড্ডায় চায়ের দোকান দিয়ে বসবাস করছিলেন তারা।স্বামী তাকে না জানিয়ে ব্যবসা প্রসারের কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে এখন এলাকা ছেড়ে লাপাত্তা।পাওনা টাকার জন্য প্রতিদিন দোকানে এসে হাজির হচ্ছে লোকজন এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ঐ নারী। একেতো টাকার জন্য লোকজনের চাপ অন্য দিকে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা।উভয় দিক নিয়ে মানসিক বিপর্যয়ের মধ্য রয়েছেন অসহায় এই নারী।উপায়ান্তর না পেয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন থানা পুলিশের তাঁতেও মিলছে না প্রতিকার। অভিযোগকারী ইয়াসমিন বেগম এর সাথে এ বিষয়ে কথা হলে,তিনি বলেন আমরা দীর্ঘদিন এক এলাকায় বসবাস করতাম।সেই হিসেবে দু-জনের মধ্যে কি ভাবে যেন ভালো সম্পর্ক হয়ে ওঠে।পরে উভয়ের সম্মতিতে শরীয়াহ মোতাবেক কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহ করি। বিয়ের আগে তিনি বলেছিলেন তার আগের স্ত্রী মারা গিয়েছে।তার চালচলনে তেমনটাই মনে হতো সন্দেহের সুযোগ ছিলো না।কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পড়ে তার বিভিন্ন প্রয়োজনে টাকার যোগান দিতে গিয়ে সব সত্য বেরিয়ে আসে পরে জানতে পারি আমার আগেও তিনি আরো দুটি বিয়ে করেছেন এবং তারা সবাই বেঁচে আছে তাদের ঘরে উপযুক্ত বয়সের ছেলে মেয়ে রয়েছে।এখন কি আর করার সংসার যেহেতু বেঁধে ফেলেছি তা ভেঙে দিলে কি লাভ হবে।এভাবে এতটা বছর কাটানোর পর গত সেপ্টেম্বর মাস এর ২২ তারিখ অসংখ্য মানুষ এর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমাকে বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছে সে। তার মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন,আমরা তাকে চিনি না তুমি যা পারো তা করো এটা আমাদের কোন বিষয় না।এখন আমি এমন দুঃখ দূর্দশার মধ্যে রয়েছি। তারপরেও চেষ্টা করছি যে ভাবে হোক সমাধান করা যায় কি না। শেষমেষ যদি কোন সমাধান না পাই তাহলে আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করা ছাড়া আর কোন রাস্তা দেখছি না।টাকা ধার দেওয়া এক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমার কাছ থেকে সে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছে।দেখলাম তার চায়ের দোকান আছে তা ছাড়া তার আশুলিয়া এলাকায় জায়গায় রয়েছে তা বিক্রি করে টাকা ফেরত দিবে বলে অঙ্গীকার করেছিলো এই বিশ্বাসে তাকে ধার দিয়েছি।আমার মতো আরো অনেক এর কাছ থেকে এমন করে টাকা নিয়ে সে পালিয়েছে।অভিযোগের বিষয়ে আইনুর রহমানের বক্তব্য নিতে তার বড় মেয়ে আইরিন এর মুঠোফোনে তার খোঁজ জানতে চাইলে সে বলে আমার বাবা কোথায় আছে আমরা জানি না।সে আমাদের কাছে আসে না। তাদের বিষয় তারা বুঝুক এতে আমাদের কিছু আসে যায় না।