মোজাহের ইসমাইল নাঈম, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী সদর উপজেলার ৬নং নোয়াখালী ইউনিয়নের সল্যাঘটিয়া কালিতারা বাজার সংলগ্ন প্রকাশে মকবুল খলিফা বাড়ি রেজিয়া খাতুন নামে এক অসহায় নারীকে মারধর ও তার বাড়ি লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় রেজিয়া খাতুন গত শনিবার (২০এপ্রিল ২০২৪) নোয়াখালী সদর থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করেন
অভিযোগ রেজিয়া খাতুন বলেন, গত ১৯এপ্রিল রাত ৯ টায় পূর্ব শত্রুতা জের দূরে নাহিদ, (২৬), গিয়াস উদ্দিন বাহার (৬৫), জাহেদ (৩৪), আজিমা খাতুন (৬৫) তাদের লোকজন নিয়ে বাড়িতে হামলা করে। এ সময় জেরিনা খাতুন ও তার দুই ছেলে সহ ঘরের সদস্য বৃন্দকে অমানবিকভাবে মারধর করে তারা
এ সময় রুপা বেগম নাজমা বেগম ইমাম সহ আহত হয়
রেজিয়া খাতুন বাড়ি থেকে নগদ ১ লাখ ৬০হাজার টাকা এবং ১০ আনা স্বর্ণের চেইন লুট করে ও জিনিসপত্র আসামিরা নষ্ট করে বলেও তিনি অভিযোগ উল্লেখ্য করেন।
সল্যাঘটিয়া গ্রামে শনিবার (২০এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আছিয়া বেগম ঘরে সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করা রয়েছে। টিভি, ফ্রিজ, আলমারিসহ ঘরের সকল দামি জিনিসপত্র ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া ঘরে সকল জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে ও রেজিয়া খাতুন আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নাহিদ ও গিয়াস উদ্দিন বাহার লোকজন নিয়ে গত ১৯ এপ্রি জেরিনা খাতুন বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এরপর থেকেই জেরিনা খাতুন এবং মা ও ছেলে দেরকে এই বাড়িতে ঢুকতেও দিচ্ছে না আসামিরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, জেরিনার বাড়ির সীমানা নিয়ে নাহিদ সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন। জায়গা নিয়ে আবারও তাদের মধ্যে সর্বশেষ গত ১৯ এপ্রিল বিবাদ হয়। পরে ঐ দিন নাহিদ ও গিয়াস উদ্দিন বাহার লোকজন রেজিয়া ও তার মা ও ছেলে আরও কয়েকজনকে মেরে আহত করে এবং তাদের বাড়ি ঘরে লুটপাট করে।
ভাঙচুর করা হয় মূল্যবান জিনিসপত্র
এ ব্যপারে রেজিয়া খাতুন বলেন, নাহিদ ও গিয়াস উদ্দিন বাহার ও স্থানীয় সন্ত্রাসী। সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগেও নাহিদ লোকজন আমার বাড়িতে হামলা করে। গত ২০ এপ্রিল একটি নোয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ করি।
তিনি বলেন, সীমানা বিরোধ স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু এর পরে নাহিদ ও গিয়াস উদ্দিন বাহার আমার কাছে চাঁদা দাবি করে এবং আমার বাড়ির কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করে। পরে আমি চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমার ওপর ও আরও বেশ কয়েকজনের ওপর প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা করে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী সদর সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিস্যার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি দৈনিক সরেজমিন বলেন, রেজিয়া খাতুন অভিযোগ করেছে। আমরা দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।