শফিকুল ইসলাম শরীফ রিপোর্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মা ও দুই ছেলেকে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জহিরুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে নরসিংদীর মাধবদী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার জহিরুল ইসলামের বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার আলগীরচর গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল খালেক।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে নিজ বসতঘর থেকে প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার ও তাদের দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর-ছয়ানি দক্ষিণপাড়ায় ঘরের দরজা ভেঙে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
স্ত্রী ও দুই সন্তানের হত্যার খবরে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলম। নিহতরা হলেন- সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার, তার ১৪ বছর বয়সি বড় ছেলে মাহিন ও ৭ বছরের ছেলে মহিন।
নিহত জেকি আক্তারের ভাই শামীম আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, জহিরুল আমার বড় বোন শিল্পীর মেয়ে আনিকা আক্তারের স্বামী। আমার ভাগ্নির বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে সমস্যা হওয়ার কারণে আমার বোনের বাড়িতেই থাকত। জহিরুল এ বাড়িতে নিয়মিত আসা যাওয়া করত। সে সোমবার সকালে আমার বোন জেকির গ্রামের বাড়িতে আসে এবং নাস্তা খেয়ে চলে যায়। আবার রাত ৮টার দিকে আমার বোনের বাড়িতে আসে। সে যে এখানে এসেছে বিষয়টি তার শাশুড়ি ও তার বউকে জানাতে বারণ করে। জেকি বিষয়টি আমার বড় বোন ও ভাগ্নিকে জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে পালিয়ে আমার বড় বোনের বাসা মাধবদী যায়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে রাতে আটক করে।
মামলার বাদী ও নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন জানান, আমার মেয়ে ও নাতিদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে জহিরুল। আমার নাতির বিয়ের পর থেকে একের পর এক অশান্তি সৃষ্টি করে আসছিল জহিরুল।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনচার্জ নূরে আলম সরেজমিন পত্রিকা কে বলেন, আজ সকালে জহিরুল ইসলামকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।