মোঃ রিপন হাওলাদার
বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় গত ২৭-০৩-২০২৪ তারিখ ৪ ঘটিকার সময় অভিযান পরিচালনা করে উজিরপুর থানার ২০০৯ সালের চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ পলাতক আসামি মোঃ এনায়েত করিম রাড়ি (৩৬), পিতা-আব্দুল শাহজাহান রাড়ি, সাং-কালকিলা, থানা-উজিরপুর, জেলা-বরিশাল’কে গ্রেফতার করে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।
গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে তারা জানতে পারে যে,গ্রেফতারকৃত এনায়েত এর বোন ফাতেমা আক্তার ও মামলার ভিকটিম পরষ্পর বান্ধবী ছিল। বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়া আসা এবং পারিবারিক ঘনিষ্টতার কারণে গ্রেফতারকৃত এনায়েতের সাথেও ভিকটিমের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একান্তে যোগাযোগের কথা বলে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ভিকটিম গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে ভিকটিমকে বিয়ে করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর গ্রেফতারকৃত এনায়েত অন্যত্র বিয়ে করলে ভিকটিম সম্মান এবং সম্ভ্রম হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের পরিবার জানাজানির এক পর্যায়ে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায় ২২/১২/২০০৯ তারিখে গ্রেফতারকৃত এনায়েতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২২/০২/২০১০ তারিখে গ্রেফতারকৃত এনায়েতকে দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা করেন। পরবর্তীতে মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, বরিশাল কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
গ্রেফতারকৃত এনায়েত তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হওয়ার পরপরই নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানীতে এসে আত্মগোপন করে। মামলার পর হতে অদ্যাবধি রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে ঝাড়–বিক্রেতা সেজে পলাতক জীবনযাপন করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আর /এইচ/সরে