মশিউর রহমান নয়ন- চট্টগ্রাম নগরীর ব্যস্ততম বড়পোল চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি অবহেলা ও অপরিচ্ছন্নভাবে আছেদাঁড়িয়ে।বৃষ্টিতে ভিজে ও রোদে শুকিয়ে প্রতিনিয়ত সৌন্দর্য হারাচ্ছে ম্যুরালটি।
ভাস্কর্যের রং হারিয়েছে বহু আগেই। আশেপাশের গাছ গাছালি গুলো বড় হওয়াতে আশ–পাশ থেকে পরিপূর্ণভাবে দেখাও যাচ্ছে নাভাস্কর্যটি। আশেপাশে জমে আছে রাস্তার কাজ করা নোংরা বিটুমিন ও কংকরের স্তুপ। যেন দেখভাল করার কেউ নেই।
২০২০ সালের ২৯ শে জুলাই জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে ভাস্কর মোহাম্মদ আতিকুলইসলামের সুনিপুন হাতে নির্মিত ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দিন ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু সেই থেকে এই পর্যন্তভাস্কর্যটি রক্ষণাবেক্ষণ চোখে পড়ার মত নয়। ভাস্কর্যটির বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত ময়লা জমাতে শ্যাওলা পড়েছে প্রায় অংশতে।
তাই এখনই যদি রক্ষণাবেক্ষণ এর কার্যক্রম হাতে না নেয়া হয় তাহলে অচিরেই স্মৃতিচারন ও সৌন্দর্য বর্ধনের রূপ হারাবে ভাস্কর্যটিবলছেন সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু আদর্শের ব্যক্তি মহল।
তবে এই ব্যাপারে জানতে চসিকের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর লায়ন মোহাম্মদ ইলিয়াসকে মুঠোফোনে পাওয়া না গেলে চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশনের মেয়রের পক্ষে মেয়রের (পিএ) শিবলু মুঠোফোনে সরজমিন বার্তা কে বলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বে টার্মিনালউদ্বোধন করতে আসছিলেন তার আগেই ম্যুরালের শোভা বর্ধনীতে রংয়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
বিশ্বনন্দিত আন্তর্জাতিক রাজনীতির আইকন ও বজ্র কন্ঠের এক মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার একটিভাষণের চিত্র বজ্রকন্ঠ রূপে শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্ব গণতান্ত্রিক দেশগুলোর রাষ্ট্রপতি ও সাধারণ জনগণের কাছে পর্যন্ত একটিস্বাধীনতা অর্জনের মূল মন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
যার একটি ভাষণে সাড়া দিয়েছিল পুরো বাংলার নারী–পুরুষ, শিশু সহ আমজনতা সকলেই। ছিলো না কোন দল–মত। ছিল শুধুস্বাধীনতার দাবি। আর এই অকুতোভয় সে মহানায়ক কে জাতির জনক উপাধিতে ভূষিত করেছে বাঙালি থেকে শুরু করে বিশ্বের সকলরাজনীতিবিদগণ।
সেই ভাষণটিকে বাঙালি জাতি আদৌ স্বাধীনতা অর্জনের পরও হৃদয়ে লালন করে গভীর শ্রদ্ধা ভরে এবং ভালোবাসায় সিক্ত করে। কারণএটা কোন সাধারণ ভাষণ নয়,
যে ভাষণ শুনলে আজও বাঙালি জাতির কম্পন উঠে বুকে ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন লাখো মানুষের সামনে বজ্রকন্ঠে বলেছিলেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তিরসংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম” আর এই স্লোগানটিকে হৃদয়ে গেঁথে নিয়েছে বাঙালি জাতি, অর্জন করেছেস্বাধীনতা। তাই শ্রদ্ধা–সম্মান নিয়ে আজও স্মৃতির প্রতিচ্ছবি এই জাতির জনকের “বজ্রকন্ঠ” নামক মুরালটি।