
মহিউদ্দিন মাসুমঃ চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম, এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, অতীতে যারাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তারাই জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। কোন নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর মাধ্যমে এ বিজয় আসেনি। ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস বা ঘোষণা দিয়ে এত বড় আন্দোলন হয়নি। এ আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড যারা শহীদ হয়েছেন। দ্বিতীয় মাস্টারমাইন্ড আহতরা। তৃতীয় মাস্টারমাইন্ড গাজী’রা। চতুর্থ মাস্টারমাইন্ড পলিসিম্যাকাররা। আন্দোলনে পলিসিম্যাকারদের মধ্যে কয়েকটি লেয়ার ছিল। কোন দল বা ব্যক্তিকে মাস্টারমাইন্ড বলে জাতীয় চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুথানে সাংবাদিকদের ব্যাপক ভুমিকা ছিল। ফ্যাসিবাদ পতনের পর আপনারা প্রপেশনালিজমকে বাস্তবায়নের জন্য নূন্যতম কোন ধরনের শঙ্কা বোদ করবেন না। সত্যকে সবসময় ফুটিয়ে তুলবেন। আপনারা জাতির বিবেক, তাই বিবেক দিয়ে সত্যকে তুলে ধরবেন। কারণ, সত্য এবং মিথ্যার মিংশ্রনকে আল্লাহতাআলা কখনোই পছন্দ করেন না।
উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শিবিরের সেক্রেটারী জাহিদুর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিবিরের জেলা অফিস সম্পাদক মোশারফ হোসাইন, প্রচার সম্পাদক নূরুল ইসলাম মোল্লা, অর্থ সম্পাদক ইব্রাহীম ভূইঁয়া আজাদ, ছাত্রকল্যান সম্পাদক নূরউদ্দিন মাহবুব, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদর সভাপতি মোজাম্মেল হক, চৌদ্দগ্রাম উত্তর সভাপতি নাছিম মিয়াজী, চৌদ্দগ্রাম দক্ষিণ সভাপতি নূরুর রহমান জিন্নাহ, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা সভাপতি হোসাইন আহমেদসহ উপজলা অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।