
মোঃ আমিরুল ইসলাম হীরা, ময়মনসিংহঃ
বিশ্ব ইজতেমায় আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।শুক্রবার বাদ জুমার তাবলিগ জামাতের মনির উদ্দিন সমর্থক মুসল্লিদের উপর হামলা করে সাবেক এমপি মালেক সরকার সমর্থকরা।
দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। মসজিদের ভিতরে হামলা করে বাহিরে ময়দানের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে ২০/২৫ জন আহত হন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। আহত ব্যক্তিদের ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া সরকারি হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সন্ত্রাসী সাবেক এমপি মালেক সরকারের সন্ত্রাসীরা মনির উদ্দিন সমর্থনদের ওপর হামলা করে। এ হামলায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মুহূর্তের মধ্যে স্থানটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আধা ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।
সংঘর্ষের পর সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকার মাঝে তাঁদের হাতে লাঠিসোঁটা প্রস্তুত রয়েছে যেকোনো সময় আবার সংঘর্ষ হবে।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় আন্ধারিয়াপাড়া তাবলীগী ইজতেমাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। জুমার নামাজ পর দুপক্ষের সংঘর্ষে ইদ্রিস আলীসহ আহত২০। শুক্রবার(১৮ অক্টোবর) জুমআর নামাজ শেষে উপজেলার আন্ধারিয়াপাড়া বাজার বাংলাদেশ আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় মারকাজ মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, মুসল্লিদেরকে গুরুতর আহত করে তারা মিয়া এক তাবলীগী কর্মীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম এর ৩২ তম তাবলীগী ইজতেমা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়। যার প্রেক্ষিতে উভয় গ্রুপের মধ্যেই কথা কাটাকাটি হয় ও একাধিকবার মারামারি হয়। এমন ঘটনায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় আমীরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় এ বছরের ইজতেমা স্থগিত করে বিষয়টি জেলা প্রশাসন সহ স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেন। তবুও একটি চক্র ইজতেমা আহ্বান করে কার্যক্রম শুরু করে। এতে স্থানীয় তাবলীগী কর্মীরা বাঁধা দেওয়ায় নিরীহ তাবলীগী কর্মীদের উপর ফিল্মি স্টাইলে লোহার রড ও চেইন দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা করে বলে তাবলীগ কর্মীরা জানান। সন্ত্রাসীদের ভয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন বলেও তারা জানান।আরো জানা যায় যে,
জুমার নামাজ শেষে আওয়ামী সরকারের সাবেক এমপি মালেক সরকারের অনুসারীরা মসজিদে ভিতর মুসুল্লিদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালায়।
এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ রক্ষায় প্রশাসনিকভাবে ইজতেমা বন্ধ করে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পরেছে বলে দাবি স্থানীয় সুশীল সমাজ জানান।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি রুকনুজ্জামান বলেন, কোন প্রকার আইন-শৃঙ্খলা অবনতি ঘটতে দেওয়া হবে না।