
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বিমান হামলার প্রতিবাদে এবং আল আকসা মসজিদ রক্ষার দাবিতে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন করেছে সন্দ্বীপ ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়্যাহ’র ও তাওহিদি জনতা।
শনিবার (২১অক্টোবর) সকাল ১০ টায় পূর্ব সন্দ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে সন্দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার তৌহিদি জনতা মিছিল ও হোল্ডা মিছিলের মাধ্যমে এসে জড়ো হয়।
উক্ত সমাবেশে সন্দ্বীপ ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়্যাহ’র সভাপতি মাওলানা মাহবুবুল উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সন্তোষপুর হোসাইনিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার মহা পরিচলক মাওলানা আতিক উল্লাহ।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, ইহুদিদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর যে ভয়াবহ হত্যাকান্ড চালাচ্ছে তা সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
প্রতিদিন ফিলিস্তিনিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের হারাচ্ছে, মা বাবা মারা যাচ্ছে সন্তানের সামনে আবার কোমলমতি শিশুরা মারা যাচ্ছে মা বাবার সামনে।
ইসরায়েল ফিলিস্থিনিদের সকল বাচ্চাকে হত্যা করছে যাতে করে আর ভবিষ্যত প্রজন্ম না থাকে।
কোনো সভ্যজাতি এই এই বর্বরতাকে সমর্থন করতে পারে না। বক্তাগন আরো বলেন, ১৯৭২ সালের ৪ই ফেব্রুয়ারী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাঈল বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতির প্রস্তাব পাঠায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসরায়েলকে অবৈধ বলে তাদের স্বীকৃতিকে প্রত্যাক্ষান করেন।
১৯৭৪ সালের লাহোরে ওআইসির সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে বলেন, ফিলিস্তিনের পাশে দাড়াতে আমি আমার দেশের সাড়ে সাত কোটি জনগণ নিয়ে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা করবো, ইনশাআল্লাহ।
তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে উদ্যেশ্য করে বক্তাগণ বলেন, আপনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা হিসেবে সেনাবাহিনী প্রেরণ করে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে দাঁড়ান।
বিক্ষোভ চলাকালিন সময়ে উপস্থিত তৌহিদি জনতা ইসরায়েল বিরোধী ও ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পাশাপাশি তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ান। এ সময় তারা ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘বয়কট ইসরায়ের’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে মুফতী আব্দুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামিদ ও মুফতী রায়হানের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন, মাওলানা আতিক উল্লাহ, মাওলানা হাফেজ আহমদ, মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মাওলানা আনজার শাহ, মাওলানা এহসান উল্লাহ, মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন দেলোয়ার, মাওলানা ওমর ফারুক ফয়সাল, মুফতী নুর হুসাইন, মুফতী নুরুল আবছার, মাওলানা শাব্বির আহমাদ, মুফতী আহসান উল্লাহ, মাওলানা নাজিম উদ্দীন, মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, মুফতী আবরারুল হক, মাওলানা শরীফ হায়দার প্রমুখ।