মামুন মিঞা
ফরিদপুর ব্যুরো।
ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানাধীন নওপাড়া বাজারস্থ ০১নং আসামী মোঃ মাহাবুবুর রহমান (৪৭) এর নিজ দখলীয় উত্তর ভিটির দক্ষিন দুয়ারী চৌচালা টিনের ছাউনী ও টিনের বেড়াযুক্ত দ্বিতলা বিশিষ্ট ঘরের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশের কক্ষ।
১। মোঃ মাহাবুবুর রহমান (৪৭) (গ্রেফতার), পিতাঃ মৃত আব্দুর রহমান, মাতাঃ আয়শা খাতুন, হালসাং-নওপাড়া বাজার, থানাঃমধুখালী, জেলাঃ ফরিদপুর, সাং-কুড়ানিয়ার চর, পিছলিয়া, পোঃ নওপাড়া, থানাঃ মধুখালী, জেলাঃ ফরিদপুর। ২। আব্দুল মোনাফ (৬৪) (গ্রেফতার), পিতাঃ মৃত আবু তাহের, মাতাঃ মৃত হাফেজা খাতুন, স্থায়ী সাং সিরাজীপুর ০৭নং ওয়ার্ড আবু তাহের ভবন), পোর+থানাঃ কক্সবাজার সদর, জেলাঃ কক্সবাজার।
১নং আসামীর পরিহিত জিন্স প্যান্টের সামনের ডান পকেট হতে একটি স্বচ্ছ দীপরযুক্ত পলি প্যাকেটের মধ্যে মিথাইল অ্যামফিটামিনযুক্ত ট্যাবলেট যার বানিজ্যিক নাম ইয়াবা ৫০০ (পাঁচশত) পিস, ওজন ৫০(পঞ্চাশ) গ্রাম এবং ২) ০২নং আসামীর কোমরে থাকা MAX নামীয় একটি কালো রংয়ের কোমর ব্যাগের ভিতর ৪(চার)টি স্বচ্ছ জিপারযুক্ত পলি প্যাকেট, ০১(এক)রট প্যাকেটে ৫০ (পঞ্চাশ)পিস এবং ০৩(তিন)টি প্যাকেটে ৫০০(পাঁচশত) শিস করে (৫০০ X ৩)-১,৫০০(এক হাজার পাঁচশত) পিস, মোট (১,৫০০+৫০)=১,৫৫০ (এক হাজার পাঁচশত পঞ্চাশ) পিস, ওজন ১৫৫ (একশত পনচার) গ্রাম। সর্বমোট আলামত (৫০০+১,৫৫০) ২,০৫০ (দুই হাজার পঞ্চাশ পিস। ওজন ২০৫ (দুইশত পাঁচ) গ্রাম। আলামতের আনুমানিক মূল্য ৬,১৫,০০০/-(ছয় লক্ষ পনের হাজার) টাকা।
আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী এই মর্মে আপনার থানায় এজাহার দায়ের করছি যে, ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানাধীন নওপাড়া বাজারে ০১নং আসামী মোঃ মাহাবুবুর রহমানবৃন্ত্রণ) এর নিকট কক্সবাজার থেকে একজন ব্যক্তি ইয়াবার একটি চালান নিয়ে মধুখালী থানার নওপাড়া এলাকায় এসেছে মর্মে জানতে পারি। প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪/০১/২০১৪ইং তারিখ বিভাগীয় উপরিদর্শক মোঃ আমিরুল ইসলাম (৪৯১৬৯), সহকারী উপপরিদর্শক সর্বজনাব মোঃ জিল্লুর রহমান (৪৯২১১), মোহাম্মদ আলী (৪৯২:৩১), হাসান আল মামুন(৪৯৪২৯), মোঃ শরিফুল ইসলাম(৪৯৪৬৫), সিপাই সর্বজনাব শয়ন সাহা (৪৯৫৬৫), আবুল কালাম আজাদ (৪৯০৬৭৯), সুজন তালুকদাজ৪৯০৭৮৮), মোঃ মামুন হোসেন (৪৯০৯২১), শশাংক সরকার (৪৯০৯৬৫) এর সমন্বয়ে গঠিত একটি রেইডিং পার্টি নিয়ে সরকারি গাড়ীযোগে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানাধীন নওপাড়া বাজারস্থ ০১নং আসামী মোঃ মাহাবুবুর রহমান (৪৭) এর নিজ দখলীয় উত্তর ভিটির দক্ষিন দুয়ারী চৌচালা টিনের ছাউনী ও টিনের বেড়াযুক্ত দ্বিতলা বিশিষ্ট ঘর সময় ২০:০০ ঘটিকায় ঘেরাও করি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের মধ্য হতে জনাব আসাদ শেষ (৩৩) ও জনাব সন্তোশ নীল (৪০) এবং অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী (৪৮) (সাক্ষীদের পূর্ণ ঠিকানা জব্দতালিকায় বর্ণিত আছে)-দের সঙ্গে নিয়ে উক্ত ঘরের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশের কক্ষের ভিতর প্রবেশ করে ০১নং আসামী মোঃ মাহাবুবুর রহমান (৪৭) এবং ০২নং আসামী আব্দুল মোনাফ (৬৪) কে উক্ত কক্ষের ভিতর উপস্থিত পেয়ে আটক করে। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক ০১নং আসামীর দখলীয় দেহ তল্লাশী করে আসামীর পরিহিত জিন্স প্যান্টের সামনের ডান পকেট হতে একটি স্বচ্ছ জীপরযুক্ত পলি প্যাকেটের মধ্যে মিথাইল অ্যামফিটামিনযুক্ত ট্যাবলেট যার বানিজ্যিক নাম ইয়াবা ৫০০ (পাঁচশত) পিস; ওজন ৫০ (পঞ্চাশ) গ্রাম (যাহা সরকারী ডিজিটাল ওয়েট মেশিন দিয়ে পরিমাপ করা) সময় ২০:১৫ ঘটিকায় এবং ০২নং আসামীর দেহ তল্লাশী করে আসামীর কোমরে থাকা MAX নামীয় একটি কালো রংয়ের কোমর ব্যাগের ভিতর ০৪(চার)টি স্বহু জিপারযুক্ত পলি প্যাকেট, ০১(এক)টি প্যাকেটে ৫০ (পঞ্চাশ)পিস এবং ০৩ (তিন)টি প্যাকেটে ৫০০ (পাঁচশত) পিস করে (৫০০ X ৩) -১,৫০০(এক হাজার পাঁচশত) পিস, মোট (১,৫০০+৫০)=১,৫৫০(এক হাজার পাঁচশত পঞ্চাশ)পিস; ওজন ১৫৫ (একশত পঞ্চান্ন)গ্রাম (যাহা সরকারী ডিজিটাল ওয়েট মেশিন দিয়ে পরিমাপ করা) সময় ২০:৩৫ ঘটিকায় উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে উক্ত খাটের উপর বসে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থাপনায় ক্লিপবোর্ডের উপর রেখে সময় ২০:৫০ ঘটিকায় একটি জব্দতালিকা ও নমুনা লেবেল প্রস্তুত করে উহাতে সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহণসহ নিজেও উক্ত জন্দতালিকায় স্বাক্ষর করে । উদ্ধারকৃত আলামত হতে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য প্রতি প্যাকেট হতে ০১(এক)পিস মোট ০৫ (পাঁচ)পিস মিথাইল অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট নমুনা হিসেবে পৃথক করে ‘ক,খ,গ,ঘ,ঙ’ চিহ্নিত করি। অবশিষ্ট আলামত ও নমুনা পৃথক পৃথকভাবে সাক্ষীদের স্বাক্ষরযুক্ত লেবেল দ্বারা সীলগালা করে বিভাগীয় হেফাজতে গ্রহণ করি। আসামীদ্বয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ সংশোধনী ২০২০) সনের প্রথম তফসিলের ‘ক’ শ্রেণির ৫নং ক্রমিকযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট সংরক্ষণ করে ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) লঙ্ঘন করায় তাদের হাতে নাতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক ভাবে উদ্ধাকৃত আলামত ইয়াবা ট্যাবলেট এর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা উভয়েই জানায় পরস্পরের যোগসাজশে একরে অপরের সহযোগীতায় উক্ত ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসা পরিচালনা করে। অতঃপর গ্রেফতারকৃত আসামী, আলামত ও নমুনা এবং রেইডিং পার্টিসহ সময় ২১:০০ ঘটিকায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এমতাবস্থায়, গ্রেফতারকৃত ০১নং আসামী মোঃ মাহাবুবুর রহমান (৪৭) এবং ০২নং আসামী আব্দুল মোনাফ (৬৪) দ্বয় নিজ দখলে অবৈধ মাদকদ্রব্য মিথাইল অ্যামফিটামিনযুক্ত ট্যাবলেট যার বাণিজ্যিক নাম ইয়াবা বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধনী ২০২০) সনের ৩৬(১) সারনির ১০(খ) এবং একে অপরের সহযোগীতায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করায় একই আইনের ৪১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত ধারায় আপনার থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হলো। মামলাটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, ফরিদপুর তদন্তের ব্যবস্থা করবেন। জব্দতালিকার মূলকপি অত্র সাথে সংযুক্ত করা হলো। গ্রেফতারকৃত আসামী, সীলগালাকৃত আলামত ও নমুনা বিভাগীয় হেফাজতে আছে। ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানাধীন গজারিয়া গ্রামস্থ আসামী মোঃ দেলোয়ার ফকির উদিলু (৫২) এর নিজ দখলীয় উত্তর ভিটির দক্ষিণ দুয়ারী দোচালা টিনের ছাউনী ও টিনের বেড়াযুক্ত ০১(এক) কক্ষ বিশিষ্ট বসতঘর। আসামীর নাম ও ঠিকানাঃ মোঃ দেলোয়ার ফকির উদিলু (৫২) (গ্রেফতার), পিতাঃ মৃত মলফু ফকির, মাতাঃ মৃত হাজেরা খাতুন, সাং-গজারিয়া, পোঃ- ভাংগা, থানাঃ ভাংগা, জেলাঃ ফরিদপুর।
আসামীর পরিহিত জ্যাকেটের সামনের বাম পকেট হতে একটি স্বচ্ছ জীপারযুক্ত পলি প্যাকেটে মিথাইল অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেটের গুড়া ওজন ১১(এগার) গ্রাম। আলামতের আনুমানিক সর্বমোট মূল্য ৩৩,০০০/-(তেত্রিশ হাজার) টাকা।