মামুন মিঞা
||ফরিদপুর ব্যুরো||
ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় এবার হালি পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই উপজেলার মাঠজুড়ে শুধু পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ । চলছে পেঁয়াজ পরিচর্যার কাজ। গাছগুলো খুব তরতাজা। গাছের গোড়ায় পেঁয়াজ বড় হতে শুরু হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজের গঠন অনেকটা ভালো দেখা যাচ্ছে।
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি অফিসার বাবু তিলক কুমার ঘোষ বলেন মোট আবাদী জমির (৭৪৪১) সাত হাজার চারশত একচল্লিশ হেক্টোর ও সালথা উপজেলার কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়,
সালথা উপজেলার মোট আবাদি জমি প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর। মোট জমির প্রায় ৯০ ভাগ জমিতে চাষ হয়েছে পেঁয়াজের। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ১২৩ হেক্টর, লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জন হয়েছে ১১ হাজার ১৫০ হেক্টর।
মৌসুমের শুরুতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষেও কৃষক লাভবান হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই পুরোদমে নতুন হালি পেঁয়াজ ওঠানো শুরু করবেন চাষিরা।
কয়েকজন পেঁয়াজ চাষি জানান, চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের হালি চারা রোপণে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তবে আনুসঙ্গিক বিভিন্ন কারণে উৎপাদন ব্যয় কিছুটা বেড়েছে। পেঁঁয়াজ মৌসুমের শুরুতে সরকার যদি কোনো পেঁয়াজ আমদানি না করে, তাহলে কৃষক পেঁয়াজ চাষে লাভবান হবেন।
চাষিরা আরো জানান, প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে মোট খরচ হয় প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা এবং প্রতি বিঘায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ৫০ থেকে ৭০ মণ ।
মৌসুমে যদি পেঁয়াজের দাম দেড় হাজার টাকার ওপরে না থাকে তবে পেঁয়াজ চাষে কৃষক আগ্রহ হারাবে। আবার মৌসুমের শুরুতে পেঁয়াজ আমদানি করলে দাম কমে যায় সেক্ষেত্রে কৃষক ক্ষতির মধ্যে পড়ে। তাই পেঁয়াজের দাম বাড়াসহ উপকরণ ও পেঁয়াজ আমদানি না করার দাবী জানান তারা।
সালথা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ তুরাজ বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদন এবার লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে। কৃষকপর্যায়ে নিড়ানি, আগাছা পরিষ্কার, সেচ, বালাই ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন আন্তঃপরিচর্যা বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন।
পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গেলে কৃষকরা মসলা জাতীয় এ ফসলটি চাষে আরও আগ্রহী হবেন, যা স্থানীয় চাহিদা মেটানো ও আমদানি ব্যয় কমাতে ভূমিকা রাখবে।