
জুনায়েদ কামাল, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সারাদেশে একযোগে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ফসলি জমি থেকে অবৈধ মাটি উত্তোলন ও বালু উত্তোলনে হরদমে চলছে প্রতিযোগিতা। ফলে মাটির গাড়ি চলাচলে রাস্তাঘাট ও আশেপাশের ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। আর এ অবৈধ ব্যবসাটি স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনে হলেও তারা অদৃশ্য কারণে নিরব রয়েছে। এদিকে ফসলি জমি থেকে দ্রুত মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে কয়েকজন ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন স্পটে গিয়ে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় প্রভাব বিস্তার করে ফসলি জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করেছিল। আওয়ামী সরকার পতনের পর সেই ভূমিকা পালন করছেন বিএনপির ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী নেতাকর্মীরা ফসলি জমি থেকে এই পরিমাণ মাটি ও বালু উত্তোলন করেনি। যাহার রেকর্ড ভেঙে বিএনপির ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মাটির ব্যবসা করে সরকারি রাস্তাঘাট ও ফসলি জমির বড় ধরনের ক্ষতি করে আসছে। এতে জনসাধারণ, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ক্ষিপ্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের এমন অবৈধ মাটি ব্যবসায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনগণ। আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাই, যেন এমন মাটি খেকো ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এ বিষয়ে কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা বিগত সরকারের আমলে মাটি ব্যবসা করার সুযোগ পাইনি, আওয়ামী নেতাদের দাপটে কেউ এ ব্যবসা করার সুযোগ পায়নি। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে শান্তিতে (অবৈধ) এ মাটি ব্যবসা করতে পারিনি। এখন আমাদের সুদিন এসেছে, তাই মাটির ব্যবসা করতে আর সমস্যা হবেনা।