চট্টগ্রাম ব্যুরো– চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামএবং তার পুত্র আদনান রফিকের লোভের রোষানলে পড়ে তরুণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনায় নানাবিধ ষড়যন্ত্র, হয়রানি ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকার ইস্পাহানী মোড়ে অবস্থিত পিকোলো রেস্টুরেন্ট এ্যান্ড ক্যাফেতে এই আয়োজন করেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক অংশীদাররা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং পার্টনার নূর ফয়সাল আবেদিন বলেন, আমাদের “পিকোলো” রেস্টোরেন্ট এন্ড ক্যাফে” নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম ও তার পুত্র আদনান রফিকের নানাবিধ অত্যাচার,ব্যাবসায়িক পরিবেশ বিনষ্টকরণ, ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রভাব বিস্তার করে অপপ্রচার উদ্দেশ্যেমূলক মানহানি ও হয়রানির প্রতিবাদ ও অভিযোগ তুলে ধরতে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
আমি একজন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী এবং গত ৮ অক্টোবর ২০১৯ থেকে অংশীদার হিসেবে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন লালখান বাজার ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট এর পাশে চুক্তিভিত্তিকভাবে “পিকোলো রেস্টুরেন্ট এন্ড ক্যাফে” নামে একটি রেস্টুরেন্ট এর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। মূলত রেস্টুরেন্টটি আমরা তিনজন অংশীদার তথা আমি (ম্যানেজিং পার্টনার) নূর ফয়সাল আবেদীন,মো. ইমরান খান ও দিবাকর দাশের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং “পিকোলো রেস্টুরেন্ট এন্ড ক্যাফে’র একজন অংশীদার ও একজন প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে মো. ইমরান খান আই ই বি থেকে চুক্তিনামার মাধ্যমে রেস্টুরেন্ট করার জন্য স্পেসটি ভাড়া নেয়,যা পরবর্তীতে পুনরায় ৫ জুলাই ২০২৩ তারিখে ২য় দফায় আই ই বি’র সাথে চুক্তি নবায়নের মাধ্যমে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে পুনরায় ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে পরিচালনা করে আসছি।কিন্তু বিগত দিনগুলো সহ বর্তমানে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ তথা আইইবি’রসাথে চুক্তিকালীন সময়ের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চীফ ইঞ্জিনিয়ার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম ও তার পুত্র আদনান রফিক উভয়ে নানা অন্তরায় সৃষ্টি করে আসছে ।মূলত আমাদের অংশীদার ইমরান খান , উপরে উল্লেখিত ব্যক্তি আদনান রফিক এবং তার পিতা ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলামের পূর্ব পরিচিত এবং সে সম্পর্কের সুবাদে কিংবা সূত্রে তারা মো. ইমরান কে এবং আমাদেরকে “পিকোলো রেস্টোরেন্ট ও ক্যাফে” পরিবারকে আই ই বি থেকে স্পেস ভাড়া নিতে সহযোগিতা করে কিন্তু পরবর্তীতে আমরা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা জমজমাট করে তুললে পিতা–পুত্র মিলে উক্ত স্পেসের ভাড়া সহ রেস্টুরেন্টের অংশীদার দাবী করে (যার ভাড়ার মূল দাবীদার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট অব বাংলাদেশ(আই ইবি) ,কোন প্রকার চুক্তিনামা কিংবা ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব না থাকার পরেও নানান সময়ে আই ই বির পাওনা ভাড়া দাবী করে আসছে এবং রেস্টুরেন্টের মালিক দাবী করে তাদের কে মাসিক ভাড়া ও ব্যবসায়ের লভ্যাংশ পরিশোধ করার হুমকি দিয়ে আসছে। ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলামের নির্দেশে তার সন্তান আদনান রফিক রেস্টুরেন্টে এসে ইতোপূর্বে হুমকি–ধমকি সহ ম্যানেজার নাহিদকে মারধর ও গালি-গালাজ করে অবৈধভাবে ভাড়া দাবী করে।এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হলে উভয়ে মালিক দাবী করে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য প্রচার করে প্রতিষ্ঠানের মানসম্মান ক্ষুণ্ণ করে বিভিন্ন মারফতে হুমকি দিচ্ছে।এছাড়া আই ই বির সাথে আমাদের চুক্তি থাকার পরেও ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম নিজে আই ই বি সংশ্লিষ্ট হওয়ায় পরোক্ষভাবে প্রভাব খাটিয়ে নানামুখী সমস্যা সৃষ্টি করায় ব্যবসা পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে ।মূলত প্রকৌশলী রফিক রেস্টুরেন্টটি তার ছেলে আদনান রফিকের দাবী করলেও ( যাহা আই ই বির নিয়ম বহির্ভূত, মূলত আমাদের জানা মতে আই ইবির সংশ্লিষ্ট কেউ আই ই বির কোন সম্পত্তি বা সুবিধা ভোগ করতে পারে না) চুক্তিনামায় কোথাও তাদের নাম উল্লেখ নাই।অন্যদিকে আমরা যাবতীয় আইনকানুন মেনে যথাযথ কাগজপত্র সংরক্ষণ করেই নিয়মানুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। তাহারা পিতা-পুত্র নানান সময় বিভিন্ন মারফতে খবর পাঠাইতেছে যেএখানে ব্য্যবসা করিতে হইলে তাদের ৪০ লাখ টাকা দিতে হবে না হয় কিভাবে রেস্টুরেন্ট করিবে দেখে নিবে যা এক প্রকার চাঁদাবাজির সামিল। অন্যথায় মালিকানা দিতে হইবে না হলে আইইবি কে ব্যবহার করে চুক্তি বাতিলসহ অবৈধ উচ্ছেদ করিবে কিংবা প্রভাব খাটিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শান্তিপূর্ণ ব্যবসায় বিঘ্ন ঘটাবে এই মর্মে লাগাতার হুমকি দিয়ে আসছে এবং বিভিন্ন লোক মারফত বৈঠক করতে আমাদেরকে চাপ প্রয়োগ করছে যা মানহানি ও জিম্মি করার সামিল। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে আই ই বি তে তারা প্রভাব খাটিয়ে আমরা যেনো এখানে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করতে না পারি তার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আমরা আমাদের চুক্তির ১৭ নম্বর ধারা মোতাবেক যাবতীয় কার্যাবলী নিয়ম মাফিক ভাবে করতে চাইলেও আই ই বিথেকে ইদানীং অসহযোগিতা সহ যথাযথ সদাচরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি,যার ফলে আমাদের ব্যবসায় বিঘ্ন ঘটছে এবং আমরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এই সব কিছুর মূলে রয়েছে পরোক্ষভাবে এই পিতা ও পুত্র।
এমতাবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের আকূল আবেদন আপনাদের মাধ্যমে আমরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে আমরা সুবিচারের আশা করছি।