চট্টগ্রাম ব্যুরো-সিনিয়র রির্পোটার কামরুজ্জামান বলেন ২১ মে/২০২৪, বিকেল চারটার সময় আমার স্ত্রী সন্তানরা ভোট দিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করে আমি বাহিরে সদর রাস্তায় অপেক্ষমাণ।এসময় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ বিজিবি বাঁশি বাজিয়ে কেন্দ্রের বাহিরের লোকজনকে সরিয়ে দেয়। আমি বাহিরর দৃশ্যগুলো ফেসবুক লাইভ দিচ্ছিলাম। লাইভে আমি কি বলেছি সেটা সবাই শুনছেন। সেখানে পৌর মেয়রও উপস্থিত ছিলেন, কিছুক্ষনের মধ্যে সেখানে আনারস মার্কার প্রার্থী পৌঁছে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মনগড়া বক্তব্য দিয়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতি করার উদ্দেশ্যে এবং আমাকে গণপিটুনি দেয়ার জন্য কিছু মহিলাসহ ছাত্রলীগের কতিপয় ছেলেদেরকে ঈশারায় নির্দেশ দেন। তিঁনি বিভিন্ন মহলসহ আমাকে জড়িয়ে যা নয় তা বলে ছাত্রলীগের ছেলেদেরকে উস্কে দেয়। ওই সময় আমি তাদের কাছ থেকে প্রায় দুই শ্ ফুট দূরুত্বে সদর রাস্তায় একজন পুলিশ এস আই এর সাথে কথা বলছিলাম। এর কয়েকফুটের মধ্যে মধুঝিরি স্কুল (ভোট কেন্দ্র) এর গেইটের বাহিরে বিজিবির টহল দল ও ভিতরে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিল।এরই মধ্যে শামীম উসমান, পিতা আব্দুল মজিদ, সাং ৭নং ওয়ার্ড মধুঝিরি ও তাছাদ্দেক হোসেন পিতা মোজাহের হোসেন, সাং ৬ নং ওয়ার্ড লামা পৌরসভা, নামের দুই (ছাত্রলীগ) আমার নাম ধরে গালিমন্দ করে দৌড়ে এসে আমার মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে। তাদের পেছনে অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জন ছেলে (দেখলে চিনবো) দৌড়ে আসে। ততক্ষনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমার পাশে এসে পরিচয় জেনে আমাকে ছিনতাই ও হামলাকারীদের থেকে নিরাপত্তা দেন। সেই সময় আমার স্ত্রী সন্তানদেরকে, গতিরোধ করার ব্যর্থ চেষ্টা করে। সেখানে ২য় শ্রেণিতে পড়ুয়া আমার ছোট ছেলেটি রাস্তায় এসব দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে যায়। আমরা পরিবারের ৫ সদস্যের মধ্যে চারজনই ভোটার। সুতরাং বাসায় তালা মেরে ছোট শিশুকেও সাথে নিয়েছে তার মা। এসব কিছুর মধ্যে আমি বিজ্ঞ নির্বাহী মেজিস্ট্রেট এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে অটোতে উঠে প্রেসক্লাবে চলে আসি।ক্লাবে এসে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি যে, আমাকে মারার জন্য তিন দলে বিভক্ত করে তারা কিছু উচ্ছৃঙ্খল নারী ও কিশোর যুবকদেরকে ভাড়া করেছে্।অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা আমাকে গনধোলাই দিয়ে তাড়িয়েছে এবং আমি পালিয়ে গেছি ইত্যাদি আরো মানহানিকর কথা লিখে প্রচার করছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি।তারা আমার উপর হামলা করতে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে বলেও আমি জানতে পেরেছি। সুতরাং শীর্ষস্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি যখন আমাকে গণধোলাইয়ের মাধ্যমে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়; তখন আমি ও আমার পরিবার পরিজনের নিরাপত্তা আর কোথায় থাকতে পারে(!)। আমি লামা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক সরেজমিন পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে এলাকার সংবাদ সংগ্রহ ও প্রেরণ করে আসছি।
আমি একজন সংবাদ কর্মি হিসেবে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে মর্মে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলাম। আজ সারাদিন যে কয়েকটি ফেসবুক লাইভ করেছি, তার সব কিছু রেকর্ড যাচায় করলে পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে আমার আর কি বা করার ছিলো(?)। এই ঘটনার জন্য একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে আমি কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি জানিনা। তবে আমাদের উপজেলার যিঁনি কর্ণধার হিসেবে আবারো জনতার রায় পেয়েছেন, তার আচরণ যে, মোটেও দায়িত্বশীল ছিলোনা তা জানতে পারলাম। এই মাসের ৩ তারিখ ছিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। আমরা গণমাধ্যম কর্মিরা কতটুকু নিরাপদ রয়েছি? সেই বিষয়টি ও আপনাদের একজন সহকর্মী হিসেবে কি করণীয় হতে পারে আমি সেই নিবেদন করছি। ইতি মোঃ কামরুজ্জামান, পিতা মোঃ বেলায়েত হোসেন ,লামা।
সকল গন্যমাধ্যম কর্মী কি বার বার নির্যাতনের শিকার হবে।এর সঠিক তদন্তের মাধ্যেমে আইনের আওতায় এনে বিচার করার দাবী করছি।