

কোরবানির ঈদ দরজায় কড়া নাড়ছে। এই ঈদে রান্নার প্রধান উপকরণ হিসেবে থাকে বিভিন্ন রকম মসলা। মসলার বাজার ঈদকে কেন্দ্র করে আকাশচুম্বী হয়েছে। এক মাস আগে থেকেই বাজারে বেড়েছে মসলা জাতীয় সব পণ্যের দাম। যা এখনো চলমান রয়েছে। পেঁয়াজের দাম চলতি সপ্তাহে কমলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আদা।
শনিবার (২৪জুন) নগরীর বিভিন্ন বাজারে নতুন আদার দাম ২৭০ টাকার উপরে বিক্রি হতে দেখা গেলেও কিছু পুরোনো আদা ২৫০ টাকা দামেও বিক্রি হচ্ছে।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে আমদানি করা অর্ধেকের বেশি আদা ছিলো চীনা । কিন্তু দুই মাসের বেশি সময় ধরে চীনের আদা আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ। বিকল্প হিসেবে মিয়ানমার থেকে স্থলবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আদা আমদানি করা হচ্ছিলো। যে কারণে পাইকারি বাজারে আদার দাম কমেছে। ঈদের আগে আরো কমার সম্ভাবনা আছে। গত সপ্তাহের শেষের দিকে পাইকারি বাজারে উন্নতমানের আদা বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। নিম্নমানের আদা বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়।
বহদ্দারহাটের ব্যবসায়ী মো. মিনহাজ বলেন, খুচরায় আদার দাম ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাহজাহান মুছা নামের এক ক্রেতা বলেন, মসলার দাম বেড়েছে। যে কারণে কোরবানির জন্য আগের মত অল্প পরিমাণে ক্রয় করেছি। আদা দ্রুত পচে যায় তাই ঈদের সময় ঘনিয়ে এলেই আদা কেনা হয়। আদার দাম কমেছে বলে জানতে পেরে আসলাম। কিন্তু বাজারে এসে দেখছি ভিন্ন চিত্র। আজকেও আদা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। তাই আর কিনছি না। দাম বেশি বা কম যাই হোক ঈদের দু’একদিন আগেই কিনবো।
এদিকে পেঁয়াজের দাম কমে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। তবে তিন কেজি কিনলে দাম হচ্ছে ১০০ টাকা। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে রসুনের দাম। প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায় এবং সোনালি ২৬০ টাকায়। ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।