মোঃ গিয়াস উদ্দিন লিটন,চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ১৬টি থানার মধ্যে ১৩ টির কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে।
সেনা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে এসব থানায় ডিউটিতে যোগ দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।
নগরীর থানাগুলো ঘুরে দেখা যায় সেনাবাহিনী পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার লক্ষ্য সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট বিকেল থেকে চট্টগ্রামের অধিকাংশ থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি এবং অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম, আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র লুট হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে। এই অবস্থায় সরকারের কিছু উদ্যোগের ফলে পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিয়েছেন। যারা বাড়ি ঘরে চলে গিয়েছিলেন তারা ফিরে আসতে শুরু করেছেন।
সিএমপির সূত্রে জানা যায়, চালু হওয়া ১৩টি থানার মধ্যে রয়েছে নগরীর পাহাড়তলী, চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামী, খুলশী, হালিশহর, পাঁচলাইশ, সদরঘাট, চকবাজার, বাকলিয়া, আকবরশাহ, কর্ণফুলী, বন্দর, কোতোয়ালী ও থানা। এছাড়া প্রয়োজনীয় উপকরণ সামগ্রীর অভাবে শুরু করতে পারেনি ডবলমুরিং থানার কার্যক্রম। বাকি থানাগুলো অল্প সময়ের মধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে আশাবাদী।
অন্যদিকে ইপিজেড থানার কার্যক্রম নিউমুরিং ফাঁড়িতে সীমিত পরিসরে শুরু হয়। নতুন ভবন খোঁজা হচ্ছে পতেঙ্গা থানার কার্যক্রম শুরু করার জন্য। নগরীর কোতোয়ালী থানায় গিয়ে দেখা যায়, ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থীরা মিলে পুরো থানা পরিষ্কারের কাজ করছে। আর তাদের সহযোগিতা করতে দায়িত্বে ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক সরেজমিন বার্তাকে বলেন, আমাদের থানা পরিষ্কার করা হচ্ছে। আপাতত দুইটি রুমে থানার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, দুই থেকে তিনটি থানা বাদে আমাদের সব থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেসব থানা বন্ধ আছে সেগুলোও চালুর চেষ্টা করছি। তবে আপাতত থানাগুলোতে সীমিত আকারে কার্যক্রম চলছে। পুরোপুরি কাজ শুরু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। আমরা নাগরিকদের সকল ধরনের সেবা প্রদানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ধীরে ধীরে সব থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
ADVERTISEMENT
0