দেলোয়ার হোসেন
গত (২৮ এপ্রিল ২০২৪ ) সরকারি কার্য সম্পাদন শেষে র্যাব সদস্য ল্যান্স কর্পোরাল সুজন শেখ, র্যাব সদর দপ্তরের এমআই রুম হতে বেড় হয়ে পায়ে হেঁটে র্যাব-১ এ আসার সময় পথিমধ্যে আনুমানিক ২১৩০ ঘটিকার সময় বেপরোয়া গতীতে ছুটে আসা এয়ারপোর্ট অভিমুখী একটি পিকআপ ভ্যান (ঢাকা-মেট্রো-ন-২০-১৩২০) জসিমউদ্দিন মোড়ের কাছে জিনজিয়ান রেষ্টুরেন্টের সামনে উক্ত সুজন শেখ’কে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তিনি গুরুতর আহত হন। এসময় র্যাব সদস্য সুজন শেখ এর বুক, মাথা, মুখ-মন্ডলসহ হাখত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাতœক আঘাত প্রাপ্ত হয়। নৃশংসভাবে হত্যাকারী ঘাতক ড্রাইভার মোঃ সোহেল(২২) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের জন্য ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিএমএইচ ঢাকা সেনানিবাসে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে সিএমএইচ ঢাকা সেনানিবাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ০১ মে ২০২৪ তারিখ র্যাব সদস্য সুজন শেখ মৃত্যু বরণ করেন। এ প্রেক্ষিতে গত ০২ মে ২০২৪ তারিখ র্যাব সদস্য কর্পোরাল সুজন শেখ’ এর ভগ্নিপতি মোঃ ফরহাদ আলী(৩০), পিতা-মোঃ আমিনুল ইসলাম, থানা-পলাশবাড়ী, জেলা-গাইবান্ধা বাদী হয়ে ঘাতক বর্ণিত পিকআপ ভ্যান চালককে আসামী করে উত্তরা পূর্ব থানা, ডিএমপি, ঢাকা হাজির হইয়া ১৫৫০ ঘটিকায় সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮/১০৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৩ তারিখঃ ০২/০৫/২০২৪খ্রিঃ। দূর্ঘটনাটি সংঘঠিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া মাত্র র্যাব-১ এর চৌকসদল উক্ত ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে পড়ে। উক্ত নৃশংস হত্যাকান্ডটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে এই হত্যাকান্ডের আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১ এর আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য (৩রা মে ০২৪) ইং তারিখ আনুমানিক ০০১০ ঘটিকার সময় র্যাব-১ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত ঘটনার ঘাতক ড্রাইভার ডিএমপি ঢাকার বিমানবন্দর থানাধীন এলাকায় আতœগোপনে আছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর আভিযানিক দলটি ডিএমপি ঢাকার বিমানবন্দর থানাধীন ঢাকা টু ময়মনসিংহ মহাড়কের পশ্চিম পাশে বিমানবন্দর ফুট ওভার ব্রীজের নিচে অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামী *মোঃ সোহেল(২২), পিতা-আইন উদ্দিন, থানা- দূর্গাপুর, জেলা-নেত্রকোনা*’কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামী উপরোক্ত নাম ও ঠিকানা সঠিক এবং সে উক্ত ঘটনার সহিত জড়িত এবং সে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।