মাসুম বিল্লাহঃ
আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত ঘোষণাপত্র পাঠ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটিসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের একাংশ আজই ঘোষণাপত্র পাঠের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল রাতে এক বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত সমন্বয়কদের অনেকেই এই সিদ্ধান্তে একমত হন।
বৈঠকে উপস্থিত সদস্যদের মতে, শহীদ পরিবার ও আহত বীরদের মতামতই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রায় দুই হাজার শহীদ পরিবারের প্রতিনিধিরা এবং প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ইতোমধ্যেই ঢাকা পৌঁছেছেন। অনেকেই দাবি করেছেন, তাদের উপস্থিতিতেই ঘোষণাপত্র পাঠের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া উচিত।
সমন্বয়করা জানিয়েছেন, আজকের সিদ্ধান্ত শহীদ পরিবারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের সম্মতি থাকলে আজই শহীদ মিনারে ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে।
বৈঠকে উপস্থিত কিছু নেতার অভিযোগ, কর্মসূচি বানচালের জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তবে আন্দোলনের একাংশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, যেকোনো মূল্যে আজকের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। তারা দেশবাসীকে সাথে নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার শপথ নিয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, আজকের ঘোষণাপত্র পাঠের পর চারটি প্রধান দাবিতে শপথ গ্রহণ করা হবে:
- হাসিনা সরকারের অধীনে সকল সংসদ সদস্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা।
- সংবিধান পুনর্গঠন বা প্রয়োজনে বাতিল।
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি অপ্রাসঙ্গিক করা।
- ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সঠিক ইতিহাস রক্ষা।
গতকাল রাতের উত্তপ্ত বৈঠকের পর আজকের দিনটি আন্দোলনকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ও ঘোষণাপত্র পাঠ নিয়ে আজকের ঘটনাবলি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে ধারণা করছেন আন্দোলনের নেতারা।
আজকের শহীদ মিনার পরিণত হবে দেশপ্রেমিক জনতার মিলনমেলায়, যেখানে দেশের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হবে।