

চট্টগ্রাম মহানগরের বহদ্দারহাট আঞ্চলিক বাস টার্মিনাল সংস্কারে সিডিএ এর চরম অনীহা, ইজারা গ্রহীতা মালিক সমিতি কর্তৃক টার্মিনালেলাইট, সিসি ক্যামেরা স্থাপনে গাফিলতি, পুলিশ ফাঁড়ি পুন:স্থাপন এবং দারোয়ান নিয়োগে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা, টার্মিনালকে মাদকসেবী ওমাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী চক্রের অভয়ারণ্যে পরিণত করা, গাড়ি ছাড়া কাউন্টার ব্যবসা এবং টার্মিনাল পরিত্যক্ত ঘোষণা করার নীল নকশারঅভিযোগ এনে বহদ্দারহাট আঞ্চলিক বাস টার্মিনালে দায়িত্ব পালনরত ৫টি শ্রমিক সংগঠন সকাল ৬টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত চট্টগ্রামকক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কে পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) এই কর্মবিরতির ডাক দেয়া হয়।
এর আগে, বিগত ২৫ মে সমাবেশ ও মানববন্ধন করে শ্রমিক সংগঠনগুলো। সে সময় প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকেকক্সবাজার ও বান্দরবানসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলামুখী বাস ও মিনিবাস ২ ঘন্টা চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
তবে এবার ১৭ই জুন শনিবার প্রকৌশল গুচ্ছ (চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুচ্ছ পর্যায়ের আরো কিছু বিশ্ববিদ্যালয়েরসম্মান ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। যার কারণে উক্ত দিনে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে তাদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের নিমিত্ত সুষ্ঠুযান চলাচল আবশ্যক বিধায় পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন চুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এই লক্ষ্যে ১৫ জুন পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হন এবং ঘন্টাব্যাপী তাদেরবিভিন্ন দাবী–দাওয়া ও সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম এর সাথে আলোকপাত করেন। জেলা প্রশাসক জনাব আবুল বাসার মোহাম্মদফখরুজ্জামান তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো অনতিবিলম্বে মেনে নেওয়ার ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আলোচনা করবেন মর্মে পরিবহন শ্রমিকইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন। জেলা প্রশাসকের কথায় আশ্বস্ত হয়ে এবং ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনায় রেখে পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ তাদের এই কর্মবিরতি স্থগিত করেন এবং তাঁরা জেলা প্রশাসকের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান।