মোজাহের ইসলাম নাইম, জেলা প্রতিনিধিঃ
চন্দনাইশ কাঞ্চনাবাদ উত্তর মোরাদাবাদ,রুশন হাট বিজিসি ট্রাস্ট এর পিছনে সৌদাগর পাড়া মজিদের দোকানের সামনে,আব্দুল শুক্কুর এর বাড়ি,বড়ো ভাই হাসান ০৫ নং ওয়ার্ড,
প্রবাসী মো :ফারুকের সরেজমিনকে বলেন, আমার স্ত্রী জান্নাতুল তাসমিন ইমন নামে ছেলের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে আমার সংসার তছনছ করে দিয়েছে তিনি আরো বলেন শাশুর বাড়িতে কৌশলে ঈদের দাওয়াত দিয়ে মারধর করেন বউ জান্নাতুল তাসমিন ও শাশুড়ি শালা ১০থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত।
গত (০৪ জানুয়ারি ২০২৪)রোজ বৃহস্পতিবার প্রবাসী ফারুক তার বাড়ি থেকে বাবা বোন আত্মীয়স্বজন ছোট ছোট শিশু ও আমার স্ত্রী জান্নাতুল তাসমিনকে হাতে গলায় কানে পরিহিত ০৮ ভরি স্বর্ণালংকার দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে এবং কি আমার মাকে ০৪ ভরি ওজনের গলার হার পরিহিত করে একটি রিজার্ভ নোহা যুগে শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাই ঈদুল ফিতরের দাওয়াতের উপলক্ষে, খাবার-দাবার শেষ হয়ে বিকাল আনুমানিক ০৪ টার দিকে আমরা সবাই বাড়িতে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নোহা গাড়িতে ওঠার প্রস্তুতি নিলে হঠাৎ আমার বউ জান্নাতুল তাসমিন যাওয়ার জন্য রাজি হচ্ছে না,তখন আমি জিজ্ঞেস করলে কেন যেতে চাইবে না তখন আমার শাশুড়ি ও সম্বন্ধী আমার সাথে কথা কাটাকাটি করতে থাকে একদিকে আমার শাশুড়ি আমার সাথে কথা কাটাকাটি করলে অন্যদিকে আমার সম্বন্ধী তাড়াতাড়ি করে বাড়ি থেকে বের হয়ে অজ্ঞতানামা ১০ থেকে ১৫ জন আশেপাশে লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন সহ আসিয়া আমাকে আমার মাকে বোনকে সবাইকে কিল ঘুসি লাথি এলোপাথারীভাবে মারিয়া বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা যখন হয় মারার পর আমার মা য়ের গলায় থাকা একটি ০৪ ভরি ওজনের গলার হার নিয়ে নেই তারা,সবাইকে মারতে মারতে ঘর থেকে বের করে ফেলেন অবশেষে আমি কৌশল খাটিয়ে পকেট থেকে মোবাইল বের করে পুলিশ হেল্পলাইন ৯৯৯ কল করলে ৩০ মিনিট মধ্যে পুলিশ ঘটোনার স্থনে আসে এবং আমাদেরকে তৎকালীন পুলিশ শশুর বাড়ির উঠান থেকে রক্তমাখা পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন,আমার বড় বোন ইয়াসমিন আক্তার এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার বোনকে ভর্তির করেন আমার বোন ইয়াসমিন আক্তার বর্তমান গর্ভবতী,
সৌদি প্রবাসী ফারুক আরো নিশ্চিত করেন আমার স্ত্রী আমাকে বিবাহর এক সপ্তাহ পর আমরা দুজন দুজনের মধ্যে খুবই এক পর্যায়ে রক্তের সম্পর্কের মত হয়ে যাই, এরপর থেকে আমরা একজন আরেকজনকে ভিডিও করে মজা করি ফান করি ভিডিও রেকর্ড করি পর্যায়ে সে আমাকে বলেছে ইমন নামে একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক রয়েছে আমি এই কথাটা শোনার পর চুপচাপ থাকি এর পরের দিন তার এলাকায় খোঁজ নিলে ঘটনাটা সত্য বলে জানতে পারি,
ফারুকের মা বোন বাবা আত্মীয়-স্বজনরা গণমাধ্যম কর্মীদেরকে ঘটনাটি সত্যি বলে নিশ্চিত করেন
এই ঘটনার বিষয় নিয়ে সরাসরি কাঞ্চনাবাদ সওদাগর পাড়া জান্নাতুল তাসমিন ফারুকের স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে ঘটনার বিবরণ চাইলে বক্তব্য দিতে দেয়নি ,
জান্নাতুল তাসমিনের
বাবা শুক্কুর অবশেষে বলেন, ঘটনাটি সত্য হাতাহাতি হয়েছে উভয় পক্ষে,আমার মেয়ে আমার বাড়িতে না আসার কারণে
আমি আমার মেয়ের বিয়েতে ও বিবাহের পরে যা যা যাবতীয় খরচ এবং কি ০৮ লক্ষ টাকা কামিন এর টাকা সহ উদ্ধার করে জেল খাজতে ঢুকাবো ও আমার মেয়েকে প্রতিদিন মারধর করেছে তার বাড়িতে,আমি তার কারণে আমার মেয়ে দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনে দমন ট্রাইবুনালে ১ মামলা দায়ী করেছে ফারুক ও ফারুকের পরিবারের নামে, ফারুক বলেন এই মামলাটি বানোয়াট মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আমি তো তাকে সুখে শান্তিতে রেখেছি আপনারা গণমাধ্যম কর্মী আপনাদের কে বিচার দিচ্ছি আপনারা আমার এলাকায় যান তাদের থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমি ও আমার মা বাবা তাকে কতটুক সুখে শান্তি রেখেছি
জান্নাতুল তাসমিন
মা বলেন ঘটনাটি সত্য হাতাহাতি হয়েছে উভয় পক্ষে,তিনি আরো বলেন আমার মেয়েকে সব সময় ফারুক মারধর করতো মেয়েকে নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি জানান আমি কিছু জানি না সবকিছু ফারুক জানে যেটাই সিদ্ধান্ত নিবে এটাই
জান্নাতুল তাসমিন বক্তব্য জন্য তার বাড়িতেগেলে তার সাক্ষা করতে চাইলে সে সামনে আসেনি।
জান্নাতুল তাসমিন মা-বাবার সরেজমিনকে বলেন, জান্নাতুল তাসমিনকে মারধরের বক্তব্যের বিষয় নিয়ে জান্নাতুল তাসমিন শ্বশুর বাড়িতে অর্থাৎ ফারুকের বাড়িতে তার আশেপাশের এলাকার লোকজন মুরুব্বী আত্মীয়-স্বজন এবং কি ফারুকের বাড়ির সাথে লাগানো পাশাপাশি লোকজনের সাথে কথা বলে সবাই বলেন তাদের বিয়ে হয়েছে মাত্র ০৩ মাস কিভাবে তাদের মধ্যে ঝগড়া হবে তাদেরকে তো সব সময় হাসি খুশি দেখতাম সব সময় মার্কেটে যেত ঘুরাঘুরি করতো সব সময় হাসি খুশিতে থাকতো কখনো তো দেখিনি শাশুর শাশুড়ির সাথে ঝগড়া হতে এলাকার লোকজনে আরো বলেন শাশুড়ি নিজেই ভাত রান্না করে খাওয়াইত মাঝেমধ্যে কাপড়-চোপড় দিয়ে দিত ফারুকের স্ত্রীর আমরা আরো অনেক মজা করতাম তার মার সাথে কারণ বউয়ের কাপড় দিয়ে দিত রান্না করে দিত।
তার জন্য এলাকাবাসী শেষ পর্যন্ত বলেন মেয়েটা অনেক ভালো ছিল হয়তোবা কারো ফাঁদেতে পড়ে চলে গেছে।
এ বিষয় নিয়ে এলাকার চেয়ারম্যান শুক্কুর সাথে সরেজমিনকে বলেন অফিসে গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকার দেয়নি তিনি বলেন ঘটনার বিবরণ শুনেছেন উভয়পক্ষের ঝামেলা হয় উভয়পক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমার কাছে লিখিতভাবে তারা কেউ অভিযোগ দেইনি যা বলেছে মৌখিক,কিন্তু ছেলের পক্ষে একটু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা আমাকে সমাধান করে দেওয়ার জন্য বলেছিল পরবর্তীতে তারা আসেনি।
১৪ এপ্রিল রোজ শনিবার অভিযোগের বিষয় নিয়ে চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবায়দুল্লাহ সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে তিনি বলেন এই বিষয় নিয়ে এস,আই মোঃ নাহিদ আহমদের সাথে আলাপ করেন উনি ভালো আপনাদেরকে তথ্য দিতে পারবেন,
পুলিশ এসআই মোঃ নাহিদ আহমদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন তিনি ঘটনাটি নিশ্চিত করেন তিনি আরো জানান মোহাম্মদ ফারুক পুলিশ হেল্পলাইনে ৯৯৯ কল করেন আমরা তৎক্ষণিক গঠনস্থলে পৌঁছায় আশেপাশের লোকজন থেকে শুনতে পাই ঘটনাটি সত্য তৎক্ষণিক তাদেরকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠায়,তাদের বেশি ক্ষতি হয়েছে চিকিৎসা শেষে তারা আমাদের কাছে একটা অভিযোগ করে,