মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ পবিত্র ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পশু কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) ফজরের নামাজের পর থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, খিলগাঁও, পুরান ঢাকা, ধূপখোলা ও গেন্ডারিয়া এলাকা ঘুরে পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে।
ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্থায়ী বাসিন্দা, ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও সমাজসেবক জনাব আরমান হোসেন বলেন, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় আমরা পশু কোরবানি করি। আল্লাহ তৌফিক দিয়েছেন তাই পারিবারিক ও প্রথাগত ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি।
অধিকাংশ কোরবানিদাতাই আবার ঈদের প্রথম দিন কসাই সংকটের কারণ উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকেই পারিবারিক ও প্রথাগত ঐতিহ্য ধরে রাখতেও দ্বিতীয় দিন কোরবানি করেন। পাড়া-মহল্লার অলিগলি, বাসার নিচের গ্যারেজে, প্রধান সড়কে পছন্দের গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া কোরবানি করছেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা।
ইসলামের শরীয়ত মতে, কোরবানির পশু জবাই করার সময় থাকে তিনদিন। হিজরি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সামর্থ্য অনুযায়ী কুরবানি করা যায়। ফলে কোনো কারণে ঈদের দিন কুরবানি করা সম্ভব না হলে, ঈদের পরের দুদিন পশু কুরবানি করা যায়।
সোমবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সারা দেশে এবার কুরবানির ঈদে মোট ১ কোটি ৬ লাখ ২১ হাজার ২২৮ গবাদি পশু বিক্রি হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২২৮টি বেশি। অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এবার সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ও ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম পশু বিক্রি হয়েছে। এ বছর ঢাকায় ২৫ লাখ ২০ হাজার, চট্টগ্রামে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার আর রাজশাহীতে ২৩ লাখ পশু বিক্রি হয়। গত বছর কোরবানির ঈদে ৯৪ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি পশু বিক্রি হয়।