চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় কথা কাটাকাটির জেরে পান বিক্রেতাকে এলোপাতাড়ি মেরে পালিয়ে যাওয়ায় র্যাব–৭ মো. আলমগীর (৬০) নামে একব্যক্তিকে আটক করেন।
মঙ্গলবার (২০জুন) বরিশাল জেলার কাউনিয়া বিসিক এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।
র্যাব–৭ জানায়, পান–সিগারেটের ফেরী ব্যবসা করতেন ভিকটিম মো. আলমগীর (৬০) এবং আসামী মো. এনামুল হোসেন পতেঙ্গার চরপাড়ামোড়ে ঝাল নাস্তা ও ভাতের হোটেল এর ব্যবসা করতেন। হোটেলের ২য় তলায় আলমগীর একটি ব্যাচেলর বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন এবংসৈকত এলাকায় ঘুরে ঘুরে পান বিক্রি করতেন।
৮ জুন দুপুরে এনামুলের দোকানের একজন কর্মচারী ২য় তলায় আলমগীরের বাসা সংলগ্ন ওয়াসরুম ব্যবহার করতে যায়। সেখানে আলমগীরেরসাথে উক্ত কর্মচারীর কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে উক্ত কর্মচারী নিচে নেমে এসে হোটেলের মালিক এনামুলকে তাদের ঝগড়ার বিষয়টিজানায়। বর্ণিত ঘটনার রেশ ধরে হোটেল মালিক এনামুল এবং আলমগীরের সাথে ঝগড়া এবং হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে এনামুলক্ষিপ্ত হয়ে তার সংগীয় ২/৩ জন কর্মচারীকে নিয়ে আলমগীরের মাথা, মুখ, বুক, কানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরেগুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
আরও জানায়, ঐদিন রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে ভিকটিমের প্রতিবেশী বাসায় গিয়ে দেখেন গুরুতর আহত আলমগীরের কোন সাড়াশব্দনেই। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত আলমগীরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকতাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব–৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো.এনামুল হোসেন এবং তার সহযোগীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারীঅব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব–৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো. এনামুলহোসেন গ্রেপ্তার এড়াতে বরিশাল জেলার কাউনিয়া বিসিক এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে।
র্যাব–৭, চট্টগ্রামের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করেন। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আটককৃতকেজিজ্ঞাসাবাদে হত্যা মামলার প্রধান আসামী মর্মে স্বীকার করেন।
আটককৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনজন্যে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।