চট্টগ্রাম ব্যুরো- অপহৃত ভিকটিম ১৪ বছর বয়সের এবং চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানাধীন একটি স্কুলে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। ভিকটিমের প্রতিবেশী মোঃ তারেকুররহমান তাকে প্রায় সময়ই স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত। ভিকটিম তারেকের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তারেক ভিকটিমকে হুমকি দেয় যে, সে যেকোন সময় তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে।
পরবর্তীতে ১৮ মে সকালে ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী হয়ে বের হলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামী তারেক এবং তার ৪/৫ জন সহযোগী ভিকটিমকে অপহরণ করে একটি সিএনজি যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম সময়মত বাসায় না ফেরায় ভিকটিমের বাবা আত্মীয় স্বজনদের বাসাসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানায় একটি মামলাদায়ের করেন যার মামলা নং–২২, তারিখ–১৯ মে ২০২৩খ্রিঃ, ধারা–নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০(সংশোধিত–২০২০) এর ৭/৩০।
ভিকটিমের বাবা তার মেয়েকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব–৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
র্যাব–৭, চট্টগ্রাম জানিয়েছেন অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত৩০ মে ২০২৩ইং তারিখ র্যাব–৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন একটি ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনাকরে আসামী তারেক হোসেন (২৫), পিতা–মৃত আলমগীর, সাং–বরুলিয়া, থানা–পটিয়া, জেলা–চট্টগ্রাম এবং বর্নিত মামলার ঘটনায় জড়িতও আশ্রয়দানকারী আসামী মোঃ রহিম বাদশাহ (৪৩), পিতা– মৃত আব্দুল সাত্তার, সাং–বড়লিয়া, থানা–পটিয়া, জেলা–চট্টগ্রাম’দ্বয়কেগ্রেফতার এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে স¦ীকার করেতারা অসৎ উদ্দেশ্যে নাবালিকা ভিকটিমকে অপহরণ করে বর্ণিত বাসায় আটকে রেখেছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ আরও জানা যায়, ভিকটিমকে অপহরনের সময় আসামী মোঃ রহিম বাদশাহ মামলার প্রধানআসামী তারেক হোসেন এর সাথে ছিল এবং আসামী মোঃ রহিম বাদশাহ নিজে তাদেরকে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন গহীন পাহাড়েরনির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। র্যাব–১৫ আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য উখিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করলে সেখান হতে তারাভিকটিমকে নিয়ে পালিয়ে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন একটি ভাড়া বাসায় চলে আসে। পরবর্তীতে উক্ত চক্রের অন্য সদস্য সহ আসামী মোঃরহিম বাদশাহ মুক্তিপন দাবি করার পরিকল্পনা করে ও মুক্তিপন না পেলে ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।