মোজাহের ইসমাইল নাঈম, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে অসহায় ভূমিহীনদের বসবাসের শেষ ঠিকানাটুকু গিলে খাচ্ছে জ্বোতদার, ভূমিখেকো ভূগ্রাসীগণ। প্রতিবাদে সাধারণ ভূমিহীনদের অংশগ্রহণে আজ ০৬/০৬/২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার উপজেলার চরজব্বর থানার মোড়ে এক বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানবন্ধনে নিজেরা করি সংঘঠনের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভূমিহীন নেতা ও আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মাস্টার মোঃ গিয়াস উদ্দিন, ভূমিহীন নেতা সোহেল,বিশিষ্ট সমাজ সেবক আতিকুর রহমান সাজু,আলমগীর হোসেন,ইয়াসিন মেম্বার,নিজেরা করি টেইনার সবিতা তালুকদার,ভূমিহীন নেত্রী মারজাহান আক্তার, ভূমিহীন নেতা নুর উদ্দিন, আহমেদ করিম।
এসময় ভূমিহীন বক্তাগন বলেন চরের খাস জমিতে বছরের পর বছর বসবাস করে আসছে ভূমিহীনগণ। কিন্তু কতিপয় জ্বোতদার,ভূগ্রাসী ভূমিখেকোগণ নামে বেনামে জালও ভূয়া দলিল তৈরি করে অসহায় ভূমিহীনদের তাদের বসতভিটা থেকে জ্বোরপূর্বক উচ্ছেদ করছে। ওরা প্রসাশনের দূর্ণিনীতিবাজ অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব ভূয়া এবং জাল দলিল তৈরি করছে।
ভূমিহীন নেতা মাষ্টার গিয়াস উদ্দিন বলেন -৭নং পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চর নঙ্গলীয়া মৌজায় প্রায় ৬০ বছর পূর্বে নদী ভাঙ্গনের ফলে জমি গুলো ১ নং খাস খতিয়ান ভূক্ত হয়। নদী ভেঙ্গ সৃষ্ট চরে প্রায় ৫০ বছর পূর্বে বন বিভাগ বাগান তৈরি করে। পরবর্তীতে কতিপয় ব্যক্তির উদ্যোগে বন উজাড় করে ভূমিহীনদের মাঝে চাষাবাদ ও বসবাস করতে উক্ত জমি বন্টন করে। তারই ধারাবাহিকতায় অসহায় ভূমিহীনগণ এসব ভূমিতে চাষাবাদ ও বসবাস করে আসছে। কিছু কিছু ভূমি এসব ভূমিহীনদের মাঝে বন্দবস্তমূলে বিতরণ করা হয়।
পাশাপাশি এসব ভূমি হতে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করে ভূমিগুলো নামে বেনামে, মাছের ঘেরের আড়ালে নিজেদের দখলে নিয়ে ভূমিহীনদের বিতাড়িত করে দেয়। এসব ভূমিখেকো জ্বোতদারদের নাম জানতে চাইলে তারা বলেন -এরা হলেন লক্ষিপুরের সাবেক এমপি আব্দুল আউয়াল, সোনাগাজী নিবাসী আজিম, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মাসুদ উদ্দিন, চর আমানুল্লাহ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন,এবং তার সহযোগী নুর আলম মানিক। এসব জ্বোতদারগণ বয়ার দাবীতে খাস খতিয়ানের জমি নিজেদের নামে ভূয়া রেকর্ড করে নিয়েছে। এসব ভূয়া রেকর্ড তৈরি করে তারা জ্বোর করে অসহায় ভূমিহীনদের তাদের বাড়ীঘর হতে উচ্ছেদ করছে।
এসময় ভূমিহীন নেতারা জ্বোরদার,ভূগ্রাসী, ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রসাশক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহর্বাণ করেন। জ্বোরদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে জেলা প্রসাশকের কার্যালয় ঘেরাও সহ বড় কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ারি প্রদান করেন।