
মোজাহের ইসলাম নাঈম।
ব্যুরো চীফ নোয়াখালী।
গ্রামগঞ্জে সাপ্তাহিক হাটের সঙ্গে সবাই পরিচিত। নির্দিষ্ট বারে থেকে শুরু করে শাক-সবজি, খাবার-দাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, এমনকি খেলনাসহ শত শত পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানেরা এই হাটে কেনাকাটা করতে দূর-দূরান্ত থেকে আসে মানুষ।বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগম হয়ে ওঠে পুরো হাট।
ইট-পাথরের নগরজীবনে সাপ্তাহিক হাটের বিষয়টি অনেকের কাছেই অপরিচিত। তবে নোয়াখালী সদর দক্ষিণ অঞ্চলে যারা বার্স করেন, তাদের অনেকেই এই সাপ্তাহিক হাটের সঙ্গে পরিচিত। নগর জীবনে তাদের এই গ্রামীণ হাটের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করে রেখেছে অনেক বছরের পুরোনো নোয়াখালী সদর ৭ নং ধর্মপুর ইউনিয়ন ভাটিরটেক বাজার হাট। প্রতি সপ্তায় শুক্রবার,ও সোমবার,বসে এই হাট।
এ সপ্তাহের (শুক্রবার ) হাট ঘুরে দেখা যায়, এখানে দা, বঁটি, কাচের জিনিস, কাঠের ব্যবহার্য জিনিস, মাটির তৈজসপত্র, হাড়ি-পাতিল, বাঁশের তৈরি পণ্য, কুটির শিল্পের সামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি দ্রব্যাদির পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। রয়েছে মাছ ধরার পলো, বড়শি, বাঁশের তৈরি টুকরি, কুলা, খলই, মোড়া, পাটি, ছনের ঝাড়ু। এছাড়া নারিকেল, পেঁপে, লেবু, কলা, আখসহ দেশি-বিদেশি নানা রকমের ফলও উঠেছে হাটে।
নানা ধরনের টাটকা সবুজ সবজিও দেখা যায় হাটে। এছাড়া পাশের গ্রামীণ জনপদ থেকে আসা টাটকা শুঁটকি, দেশি মুরগি, কবুতর,দেশি হাঁস,খেজুর গাছের গুড়,পাওয়া যায় এই হাটে,
ভাটিরটেক বাজারের পরিচালনা কমিটির দত্তক সম্পাদক, মোঃ ইসমাইল বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকেই এই হাটে কেনাকাটা করতে আসি। ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে এই হাটে আসতাম। আগে হাট ছিল ছোট এখন খুব জমজমাট। দূর-দূরান্ত থেকে সপ্তাহের হাটবারে এখানে আসেন লোকজন।
ভাটিরটেক বাজারের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, মোঃ নুরে রহমান, বলেন আমাদের এই বাজারে ছোটবেলা থেকেই এই হাটের সুনাম শুনে আসছি। এখানে তুলনামূলক কম দামে নানা রকম কাপড়-চোপড় পাওয়া যায়। এছাড়া বিছানার চাদরসহ টাটকা শাক-সবজি, মাছ-মাংসও পাওয়া যায়। তাই প্রায় (শুক্রবার ও সোমবার) সাপ্তাহিক দুই দিন বসে এই হাট, তাই আসে দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা এবং বিক্রেতারা ।