মোজাহের ইসলাম নাঈম-নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির কারামুক্ত ২২ নেতাকর্মীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।দুপুরে মাইজদীর এক কনভেনশন সেন্টারে তাদেরকে গলায় ফুলের মালা পরিয়ে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির সমন্বয়ক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম। সম্প্রতি তিনি এসব নেতাকর্মীদের জামিনে মুক্তির উদ্যোগ নেন।দলীয় সূত্রে জানা যায়, এসব নেতাকর্মীরা ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের পর থেকে চলতি বছর ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন।মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের জন্য কারাগার পাঠশালার সমান। দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করে সকলকে যার যার জায়গা থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। জেল-জুলুম চালিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দমানো যাবে না। আজকের কারামুক্ত ২২ জন এর জলন্ত উদাহরণ।তিনি আরও বলেন, চলমান আন্দোলনে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) এলাকার সর্বস্তরের বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। যেকেনো প্রয়োজনে আমি আপনাদের পাশে আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো।
এ সময় ফখরুল ইসলামের সহধর্মিণী জোৎস্না আরা বেগম, পৌরসভা বিএনপির সহ-সভাপতি শওকত হোসেন সগীর, জসিম উদ্দিন আলমগীর, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মোহাম্মদ নোমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল কবির ফয়সাল, বসুরহাট পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক রাফেল, সদস্য সচিব মাজহারুল হক তৌহিদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এমরান হোসেন সাগর, যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজ আজমির, বসুরহাট পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন মিন্টু, চরহাজারী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসেম, বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মানিকসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।