
মোজাহের ইসলাম নাঈম
ব্যুরো চীফ নোয়াখালী।
নোয়াখালীতে ডেভিল হান্ট অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। এ নিয়ে গত ছয় দিনে ৬৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম। এর আগে, শুক্রবার জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে আসছে যৌথবাহিনী। তার ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় সুধারাম থানা থেকে দুইজন, হাতিয়া থানা থেকে দুইজন, চাটখিল থানা থেকে একজন, বেগমগঞ্জ থানা থেকে একজন, কবিরহাট থানা থেকে একজন ও সেনবাগ থানা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। এসব অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌপুলিশ একযোগে কাজ করছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সুধারাম মডেল থানার আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য মো. জাকের হোসেন (৫২), ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য আব্দুর রহিম (২৪), হাতিয়া থানার আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য মো. সোহেল (৩৫), হাতিয়া পৌরসভা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নিরব উদ্দিন কবির (২৫), বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ (৫৪), কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি সালাউদ্দিন নয়ন (৩৮), সেনবাগ উপজেলার যুবলীগের সক্রিয় সদস্য ইমাম হোসেন (৪৫), অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম সবুজ (৪৫) ও চাটখিল থানার পাঁচগাও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আশরাফুল আলম রতন (৪২)।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান। যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে। অপরাধ দমনে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারা দেশের মতো নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ছয় দিনে ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।