মোজাহের ইসলাম নাঈম,
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ৩ নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে চলছে খাস জমি থেকে মাটি কাটা।ইটভাটা ও বসতভিটায় নিতে এস্কেভেটর দিয়ে কেউ কাটছে জমির মাটি আবার কেউ কাটছে খাস জমির মাটি।এভাবে গত কয়েকদিন ধরে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের আড়ালে খাল সংলগ্ন খাস জমি থেকে রাতের আঁধারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র । এসবের নেপথ্যে প্রভাবশালী মহল রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে রাতের আঁধারে দেখা যায়।খাস জমি থেকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে চলছে মাটি কাটার মহাউৎসব।ট্রাকের পর ট্রাক ভর্তি করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া হচ্ছে এই মাটি গুলো।
মাটি কাটার কন্ট্রাক্ট্রর পারভেজ বলেন,কবিরহাট উপজেলার কারও কাছ থেকে অনুমিত নেওয়া হয়নি।তবে এই মাটি সরকারি,বেসরকারি কাজে ব্যবহার হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া নোয়াখালী খালের পূর্ব পাশ্ব থেকে ব্যাপক মাটি বিক্রি করে রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হলেন রয়েল,২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ,বাতেন,দোকানদার পারভেজ সহ বেশ কয়েকজন। এরা প্রতিদিন রাতে ২নং ওয়ার্ডে নোয়াখালী নদীর সাথে থাকা আশ্রয় প্রকল্পের সাথে নোয়াখালী খাল সংলগ্ন খাস জমির মাটি কেটে মাছে প্রজেক্ট তৈরি করেছে। এছাড়া আশ্রয় প্রকল্পের পাশে খালের দুই পাশে থাকা মাটি গুলো প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ইটভাটাতে এবং বসত ঘরের ভিটা জন্য।তারা বিএনপির দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে এসকল খালের পাশে থাকা খাস জমির জমানো সরকারি মাটি গুলো বিক্রি করছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন,এই ধরনের মাটি কাটার কোনো বিষয়ে আমি জানি না।তবে মাটি কাটার কোনো অভিযোগও এখনো পায়নি।তবে সরকারি খাস জমির মাটি কাটার কোনো প্রশ্নই আসে না।যদি এমন কোনো অভিযোগ পাই তাহলে আমরা আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নিবো।