মোজাহের ইসলাম নাঈম, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
দিন দিন তাপমাত্রা কমে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৮ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার (২৮নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিনের শুরুতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ভোর থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকায় যানবাহন চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। সড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে।
জানা গেছে, দিনেরবেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ও গতি কমিয়ে যাতায়াত করছে।
এদিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
অন্যদিকে, কুয়াশা ও শীতের কারণে খেতমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। তারা সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না। শীতের কবলে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের হতদরিদ্র মানুষগুলো।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার চালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা পড়ে। আস্তে আস্তে শীত পড়তে শুরু করেছে। কুয়াশায় গাড়ির একটু সামনেই দেখা যাচ্ছে না। তাই হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমতে শুরু করে। দিনের বেলা আবার গরম অনুভূত হয়।
সদর উপজেলার কৃষক হারুন ভূঁইয়া বলেন, কুয়াশার জন্য জমিতে যেতে পারছিলাম না। তারপরও আবাদি জমিগুলো দেখে আসছি। ঘন কুয়াশার মধ্যেই জমি টুকটাক পরিষ্কার করেছি। বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় এখন পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জমিতে বেশি সময় দিচ্ছি। তাই কুয়াশা শীত মাথায় নিয়েই বের হতে হয়েছে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালীতে আজ সর্বনিম্ন ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৮ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হিমেল বাতাস বইতে পারে। তখন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুম ইফতেখার বলেন, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই শীতে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঠাণ্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।