মোজাহের ইসলাম নাঈম,
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
গত মঙ্গলবার (১২নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার ২নং দাদপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এরমধ্যে আসামী পক্ষের মোঃ বেল্লালের ছোট ভাই এবং মামলার বাদী পক্ষের মোঃ আবদুল মতিন এর ছোট ভাই মোঃ আনোয়ার হোসেন এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের বাড়ীতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সকালে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে কবরের মাটি কাঁটা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল গোফরানের ছেলে এবং ভাতিজা ও মহিলাদের ওপর মোঃ বেল্লালের ছেলেসহ হামলা করেন। এ সময় উভয় পরিবারের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন।উভয় পক্ষ্যের বসত ঘর বাড়ী ভাংচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
তার আগে রাতে আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে আবদুল মতিনের পরিবারের লোকজন যে জমি নিয়ে দন্ধ ঐ জমিতে মাছ ধরার জন্য গেলে বেল্লাল তাদের কে সর্তক করে কিন্তু তারা তার ডাকে সাড়া না দিয়ে বলে আমরা আমাদের জমিতে মাছ ধরতে আসছি। তারপর উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।এক পর্যায় আব্দুল মতিনের পরিবারের লোকজন অতর্কিত ভাবে বেল্লালে পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন বেল্লাল । এক পর্যায়ে ৯৯৯ নাম্বারে বেল্লাল ফোন দিয়ে পুলিশকে ঘটনার স্থানে আনলে পুলিশ দুই পক্ষকে সর্তক করে দিয়ে যায়।
জমি নিয়ে দুই পক্ষের কত বছর যাবৎ বিরোধ চলছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল গোফরান বলেন,তাদেরর পরিবারের লোকজনের উপর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে হামলা করেন এবং জমির মালিকানা দাবি করেন। এদিকে আব্দুল গোফরান ও তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে আরও বলেন,আমাদের বাপদাদার জমি আমরা ওয়ারিশ সূত্রে মালিক তারা এখানে এসে আমাদের পরিবারের লোকজন থেকে জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ি করেন কিন্তু ভুয়া একটা দলিল দিয়ে তারা আবার আমাদের বাড়ীর দরজার জমি দাবি করে আমাদের উপর নির্যাতন চালায়।আমরা তাদের বিরুদ্ধে জজ কোর্টে মামলা করি।
এই বিষয়ে মোঃ বেল্লাল ও তার পরিবারের লোকজন বলেন,আমি ও আমার পরিবারের কোনো লোকজন আবদুল মতিনের পরিবারের ওপর হামলা করেনি। তারাই আমার ভাইয়ের উপর প্রথম হামলা করেছে।আমাদের কিনা জমিকে তারা দাবি করে এবং এই জমি আমাদের কিনা জমি।তারা আমাদের এই জমিকে নিয়ে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটাইছে। বেল্লাল ও তার পরিবারের লোকজন আরও বলেন,আমার ভাইকে তারা রাতের বেলা ধারালো চুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং পিস্তল দিয়ে মাথায় আঘাত করে পিছনে।পরে আমরা তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দি।সে বর্তমানে চিকিৎসা অবস্থায় আছেন।এছাড়া তারা আমার ঘরের গ্লাস ভাংচুর করে।তারা আমাদের কিনা জমি জোরপূর্বক ভাবে দখল করতে চাই।তারা কোর্টে মামলা করছে ঐ মামলার বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ করে রায় পায়।এরপরও তারা আমাদের জমি দখল করতে চাই।
এদিকে বেল্লালের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট বলে অভিযোগ করে বলেন আবদুল মতিন।আমরা রাতে আমাদের বসত ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের কে ডাক দিয়ে বলি আমার চাচা আর চাচাতো ভাই বাজার থেকে এই মাত্র আসলো আর তোমরা বলছো এরা জমি থেকে মাছ ধরছে।এই কথা বলার সাথে সাথে তারা বসত ঘরের চাদ থেকে ইট মারা শুরু করে। এক পর্যায় ইট এসে বেল্লালের ভাইয়ের মাথায় পড়লে তার মাথা পেটে যায় পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় আর বলে আমরা নাকি পিস্তল দিয়ে মাথায় আঘাত করছি।উভয়পক্ষের মারপিট হলো মুখোমুখি কিন্তু কিভাবে মাথার পিছনে আঘাত হলো আপনারা বলেন।বরণ আহত সংখ্যা বেশি আমাদের পরিবারের লোকজনের।
এদিকে আবদুল গোফরান বাদী হয়ে,নোয়াখালী সদর ১ম অতিরিক্ত সহকারী জজ আদালতে ২০১৮ সালে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন।যাহা মামলা নম্বর দেওয়ানী ১০৭