মোজাহের ইসলাম নাঈম-নোয়াখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক সহ ৪ জনকে অব্যাহতি।অব্যাহতি প্রাপ্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. জাহাঙ্গীর আলম মানিক নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. জাহাঙ্গীর আলম মানিকসহ চার নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ও সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম মানিকসহ অভিযুক্ত নেতারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তাদের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. জাহাঙ্গীর আলম মানিককে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে আওয়ামী লীগ নেতা বাহার উল্যা বাহারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আহাদকে অব্যাহতি দিয়ে তার পদে রেজাউল হক চৌধুরী, অর্জুনতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাহাব উল্যাকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে কুতুব উদ্দিন পাটোয়ারীকে এবং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানকে অব্যাহতি দিয়ে তার পদে আবদুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অব্যাহতি প্রাপ্ত নেতারা অভিযোগ করে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করায় তিনি (মোরশেদ আলম) দলীয় সভা ডেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।
নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভুইয়া মানিক। নৌকা প্রতীক নিয়ে মোরশেদ আলম জয়লাভ করেন।
জানতে চাইলে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. জাহাঙ্গীর আলম মানিক বলেন, নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। পরে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূইয়া মানিককে সমর্থক করি। সেই ক্ষোভ থেকে মোরশেদ আলম একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম চৌধুরীকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।