ইলিয়াছ হোসাইন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা গ্রামে মাদক কারবার ও চুরির ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই গ্রামের চিহ্নিত মাদক কারবারি শাহীনের (২৫) এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে একই গ্রামের মোল্লা বাড়ির আকবর হোসেনের ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (১৯)। হামলাকারী শাহীন বাঙ্গড্ডা গ্রামের উত্তর পাড়ার আতিকুর রহমানের ছেলে। আহত মেহেদী হাসান চলতি বছরে বাঙ্গড্ডা বাদশা মিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করে অনার্স ভর্তির অপেক্ষায় আছেন। এসময় ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত আহত মেহেদীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গত রবিবার রাত ১০টার দিকে বাঙ্গড্ডা বাজারে এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার আহত মেহেদী হাছান বাদী হয়ে শাহীনের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক তৌকিক হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স আসামি শাহিনকে মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লার কারাগারে প্রেরণ করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গড্ডা গ্রামের চিহৃত মাদক কারবারি ও একাধিক মাদক মামলার আসামি শাহীন বিভিন্ন ধরনের মাদক বেচাকেনা করে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করা ও বিভিন্ন সময়ে চুরির ঘটনা ঘটায়। শাহীনের বিরুদ্ধে এলাকার কোন লোক ভয়ে কথা বলতে পারে না। কেউ কিছু বললে তার সন্ত্রাসী গ্যাং নিয়ে রাতের অন্ধকারে প্রতিবাদকারীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। তার এ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে একই গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। এ নিয়ে মেহেদীকে সন্ত্রাসী শাহীন খুন করার হুমকি দেয়। সর্বশেষ গত রবিবার রাতে মেহেদী তার বন্ধু একই গ্রামের মাহফুজকে নিয়ে বেডমিন্টন খেলা শেষে পায়ে হেটে বাড়ী ফিরার পথে বাঙ্গড্ডা পশ্চিম বাজার এলাকায় আসলে সন্ত্রাসী শাহীন তার গতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করে। এক পর্যায়ে তার কোমর থেকে ধারালো একটি ছুরি বের করে মেহেদীর দুই হাতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের পিতা আকবর হোসেন বলেন, ৪-৫টি মাদক মামলার আসামী ও চুরি-সহ বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্ত সন্ত্রাসী শাহীনের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় সে আমার ছেলেকে হত্যা করতে গলায় ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করে। এসময় আমার ছেলে গলার আঘাত থেকে রক্ষা পেতে হাত দিয়ে বাধা দিলে তার দুই হাতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে শাহীন। আমি আমার ছেলের উপর এমন নির্মম হামলার প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ এ.কে ফজলুল হক বলেন, এ ঘটনায় শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলা করার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আদালত তাকে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করে।