শফিকুল ইসলাম শরীফ স্টাফ রিপোর্টার: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের টানচারা আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রামের পাশে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন ও ভেকু দিয়ে ফসলি জমি ও সরকারি খাল থেকে মাটি উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগে রাতের আধাঁরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করা সহ মাটি খেকুদের জেল জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক।
১৬ মে মঙ্গলবার বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুসারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঘটনাস্থল থেকে ০৪ (চার) জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এঅভিযান পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার সহ থানা প্রশাসনের সঙ্গীয় ফোর্স ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারিগণ।এসময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের নির্দেশে কাজ করার কথা স্বীকার করা তার চাচাতো ভাই ঐ ইউনিয়ন বাশারুক গ্রামের আব্দুর রহমানের ০৪ টি ড্রেজার, বিপুল সংখ্যক পাইপ ও সরঞ্জামাদি এবং লাউরফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ভাগিনা পরিচয় দেয়া মুরাদনগর উপজেলার গাঙ্গেরকোট গ্রামের মোমেনের ০২ টি এক্সকাভেটর মেশিন জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য ১৫ মে সোমবার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সরকারি খালের মাটি অর্ধকোটি টাকা অন্যত্রে বিক্রির অভিযোগে এলাকাবাসী ও মাটি খেকুদের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়া সহ স্থানীয় ওয়াড মেম্বার ও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক জানান, ফসলি জমি ও সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার ও ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করা সহ ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। কৃষিজমি ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষার্থে এধরনের অভিযান চলমান থাকবে।