সুমন হাওলাদার, মুন্সীগঞ্জ:
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের বেশনাল সামাজিক কবরস্থানের সরকারি লিজকৃত জমি জোরপূর্বক নকল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাতের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) বাদ জুমা বেশনাল মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় বক্তারা বলেন, ২০০৫ সালে সরকার থেকে ৩১ শতাংশ জমি লিজ নেয়া হয়েছে। ওই লিজকৃত্ জমি বেশনাল সামাজিক কবরস্থানের নামে আয় ব্যয় নেয়া হচ্ছে। সেখান থেকে নুর মোহাম্মদ বেপারীর নামে এক ব্যক্তি ১৬ শতাংশ জমি নকল দলিল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে মাবনবন্ধন কারীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা আরও বলেন, এই জমির নকল দলিল বাতিলের দাবিতে উপজেলা ভূমি অফিসে মিস কেইস করেছেন। মিস কেইস নাম্বার ২৭০/২৩ইং। তারা এই জমির নকল দলিল বাতিল করার জোর দাবি জানান।
আবদুস ছালাম মুন্সী বলেন, আমরা ছোট বেলা থেকে জানি এই জমি গোরস্থানের। গত ১৩বছর যাবত এই জমিতে ঘর তুলে ব্যবসা করে আসছি। সেখানে মাটি ভারা বাবদ প্রতি মাসে ২ শত টাকা গোরস্থানের নামে দিয়ে আসছি। কিন্তু নুর মোহাম্মদ কিভাবে সরকারি জায়গা ভুয়া দলিল করে নিয়েছে সেটা বোধগম্য নয়। আমরা চাই এই জমি গোরস্থানের নামেই থাকুক।
এই বিষয়ে বেশনাল কবরস্থানের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন মৃধা বলেন, আমি ২০০৫ সালে সরকারি খাস কৃত ৩১ শতাংশ জমি আমার নামে লিজ নেই। এবং এই জমির আয় ব্যয় কবরস্থানে দেয়া হয়। পরবর্তীতে জানতে পারি এখান থেকে ১৬শতাংশ জমি নুর মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি দলিল করে নিয়েছে। সরকারি খাস খতিয়ানের লিজ কৃত জায়গা কিভাবে ব্যক্তি নামে দলিল করে নিয়েছে সেটা জানা নাই। আমি এই দলিল বাতিলের দাবিতে উপজেলা ভূমি অফিসে মিস কেস করেছি। মামলা চলমান রয়েছে।
অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ বলেন, আমার বাবা ১৯৭৫ সালে এই জায়গা আমার নামে ক্রয় করে। আমাদের পূর্বের বাড়ি নদীতে ভেঙে যাওয়ার পরে এই জায়গায় আসি। তখন এই জায়গা ডোবা থাকার কারণে পাশের জায়গা ১৯৯৫ সালে ক্রয় করি এবং এই জায়গা থেকে মাটি কেটে বাড়ি ভরাট করি। তখন থেকে আমরা এইখানে ঘর ও দোকান তুলে ব্যবসা ও বসত করে আসছি। কে বা কাহারা কিভাবে এই জমি লিজ নিয়েছে সেটা আমার জানা নাই।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক অনিক হালদার, কবরস্থানের সহ সভাপতি ও ইউপি ওয়ার্ড সদস্য ইলিয়াস মুন্সী, সহ সভাপতি মনিরুল ইসলাম মৃধা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মানিক শেখ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটি কার্যকরী সদস্য ও কবরস্থান কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ খান, বেশনাল মদিনাতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মুফতি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম মৃধা প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ববি মিতু বলেন, কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছিনা। আমি প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।