সাফিউল ইসলাম রকি
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কশব ইউনিয়নে তুড়ুকবাড়িয়া এলাকায় আকন্দ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. শরিফ কশব ইউনিয়নে তুড়ুকবাড়িয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) তুড়ুকবাড়িয়া হাইস্কুল মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। পরে স্থানীয়রা মীমাংসার চেষ্টা করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তড়ুকবাড়িয়া মোড় থেকে শরীফ ক্যারামবোর্ড খেলে বাড়ি ফিরছিল।
এ সময় শরিফের উপস্থিতি টের পেয়ে একই গ্রামের মো. আহম্মদের ছেলে মো. সুলতান ও মো. জিয়াউর রহমানের ছেলে পারভেজ ধারালো হাসুয়া দিয়ে পেছন থেকে শরিফের পিঠে কোপ দেয়। কোপ খেয়ে আহত শরিফ বাঁচার জন্য দৌড় দিয়ে রাস্তার ওপর পড়ে যায়। এরপর তারা দুজন মিলে আবারও শরিফের পিঠে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
পরে আহত শরিফ তার নিজ বাড়ির বারান্দায় এসে পড়ে যায়। তার পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা তিনি যান। শরিফ হত্যার বিষয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে লোকজন সুলতানের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সুলতানের মা সেলিনাকে তার নিরাপত্তার জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
মান্দা থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। নিহত শরিফের লাশ থানায় নিয়ে সকালে নওগাঁ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।