এ.বি.এম.হাবিব-
নওগাঁ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতাহার হোসেনের পরিবার। অভিযুক্তরা হলো, নওগাঁ সদর উপজেলার খামার আতিথা গ্রামের মোঃ হজরত আলীর ছেলে মোঃ রিমন হাসান, আজাহার আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ, মৃত কপতুলের ছেলে গোলাম মোস্তফা মন্ডল,মোছাঃ রওশনআরা, স্বামী মোঃ হযরত আলী ,মোঃ হযরত আলী, পিতা মৃত কপতুল, মোছাঃ টপি , পিতা মোঃ গোলাম মোস্তফা। সর্ব সাং-খামার আতিথা,নওগাঁ সদর নওগাঁ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪/০৩/২০২৪ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৩০ মোঃ মোতাহার হোসেন ইফতার শেষে বাড়ী থেকে বাজারে যাওয়ার পথে অভিযুক্তদের বসত বাড়ীর সামনে পৌঁছিলে, আসামীগণ বেআইনী জনতায় দলবদ্ধভাবে হাতে লাঠি-সোঠা, লোহার রোড,হাসুয়া লইয়া বীরমূক্তিযোদ্ধ মোঃ মোতাহার হোসেনকে মারার উদ্দেশ্যে পথ রোধ করে কথাকাটাকাটির এক পযায়ে মারধর শুরু করলে তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে,আসামীরা চলে যায়। সে সময় তাঁকে গুরুত্বর অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখনও তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন বলেন,পরিকল্পিত ভাবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে, তার পথরোধ করে, গোলাম মোস্তফা এবং তার হুকুমে রিমন হাসান এর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে, তা ডান হাত দ্বারা ঠেকাইলে উক্ত আঘাতে তার ডান হাতের কব্জি হইতে কুনইয়ের মাঝখানে লেগে হাড় ভেঙ্গে দুই ভাগে ঝুলে যায়, তখন তিনি মাটিতে পড়ে যায়। তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে উপরোক্ত আসামীগণের হাতে ধারালো হাসুয়া ও লোহার রড এবং বাঁশের লাঠি উচিয়ে তাকে ও তার ছেলেকে প্রাণ নাশের হুমকি সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করে চলে যায়।
এবিষয়ে প্রতিপক্ষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে, কাওকে না পেলে পরে আঃ রশিদের সাথে মোবাইলে কথা হলে সে বলে, তারাই আমাদের মারতে এসেছিলো। আমরা থামানোর চেষ্টা করলে, ঠেলাঠেলির এক পযায়ে সে পড়ে যায় এবং তার হাতে লাগে, পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এষিয়ে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন,তাদের পারিবারিক জমিজমা নিয়ে দীঘদিনের ঝামেলা চলে আসছে। সবাই মিলে না বসলে এটা মেটানো সম্ভব হবে না।
নওগাঁ সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জাহিদুল হক বলেন, দুই পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে, ভুক্তভোগীরা মামলা করতে চাইলে মামলা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান ।