
মোজাহের ইসলাম নাঈম
ব্যুরো চীফ নোয়াখালী।
নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের স্বাধীনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী ২৫ইং) আজ সকালে ধর্মপুর ইউনিয়নে স্বাধীনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন এর সঞ্চালনায় এই বার্ষিক ক্রীড়া,সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান নিজ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্বাধীনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারজান বেগম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সেন্টাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এডভোকেট মোঃ ইমাম হোসেন স্বপন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,৭নং ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফেজ মহিউদ্দিন,স্বাধীনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি নুরুল আলম,দারুল আকরাম মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা ওসমান গনি,এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন,সহকারী শিক্ষক তানভীর আহমেদ, সহকারী শিক্ষক আফছার উদ্দিন ,সহকারী শিক্ষক মশিউর রহমান ,সহকারী শিক্ষক মোঃ সুমন,সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াছমিন,সহকারী শিক্ষক শাহীনুর বেগম সহ আরও অনেকে।উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে রয়েছেন রামগতি আছিয়া বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহম্মদ উল্যাহ সেলিম।
সকাল ৯ টা থেকে ক্রিড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে দুপুর ১ টা পর্যন্ত চলমান থাকলেও পরে বিরতির মধ্য দিয়ে সকালবেলার অধিবেশন শেষ হয়। পরে দুপুর ২টার সময় বিকেলের অধিবেশনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি,১ম,২য়,৩য় স্থান অধিকারী বিজয়ী ছাত্র ছাত্রীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।তার আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,৭নং ধর্মপুর ইউনিয়নে একটাই ভালো প্রতিষ্ঠান রয়েছে,স্বাধীনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এছাড়া পাশাপাশি অন্যন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও ঐ সকল প্রতিষ্ঠানের মতো স্বাধীনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুদক্ষ শিক্ষক ধারায় পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সকলে মিলে সহযোগিতা করি তাহলে পড়াশোনার মান আরও উন্নত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
এছাড়া ৭নং ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফেজ মোঃ মহিউদ্দিন বলেন,স্বাধীনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি গত কয়েক বছরের চেয়ে আরও অনেক বাড়ছে। পাশাপাশি শিক্ষার মানও বাড়ছে। এছাড়া শিক্ষার পাশাপাশি ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছে প্রতি সাপ্তাহের বৃহস্পতিবার। এতে শিক্ষার্থীরা খুবই আনন্দীত হয়ে বিদ্যালয় মুখি হয়েছে ব্যাপক হারে এতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আর শিক্ষার হার বাড়বে তবে এলাকাবাসীর সহযোগিতা আমাদের খুবই প্রয়োজন। তাই সবাইকে বিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান আরও ভালো করার জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে।