বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান গাজী গ্রুপে বারবার হামলা-লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ থেকে বিরত থেকে দেশের শিল্প বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ (পিএলসি) ম্যানেজিং ডিরেক্টর জহিরুল ইসলাম। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে আজ আমরা নতুন করে স্বাধীনতার ফল ভোগ করছি। ইতি মধ্যে আমাদের জাতীর অহংকার শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে দেশের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দেশ প্রিয় নবনিযুক্ত উচ্চ শিক্ষিত, জ্ঞানী উপদেষ্টাগন সম্মিলিতভাবে দেশকে পুনঃগঠনের আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আমাদের সন্তানদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার সুযোগ যেন অন্য কারো হাতে চলে যেতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলছি, ৫ই আগষ্টের পর আমরা দেখছি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী দুবৃত্তরা হামলা/ভাংচুর/লুটপাট/অগ্নি সংযোগের মতো ধ্বংসযজ্ঞের নেশায় মেতেছে। বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান গাজী গ্রুপে বারবার হামলা/লুটপাট ও শেষে অগ্নি সংযোগ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে গাজী সাহেবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার অপরাধের বিচার দেশের চলমান আইন অনুযায়ী হবে। কিন্তু কিছু দুস্কৃতিকারী মহল মিল/কারখানা/ইন্ডাষ্ট্রিতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট শেষে অগ্নি সংযোগ করে সমগ্র জাতি ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশাল ক্ষতি সাধন করছে’। বিবৃতিতে তিঁনি আরো উল্লেখ করেন, ‘যদি গাজী গ্রুপে তিন হাজার শ্রমিক-কর্মচারী চাকরী করে তাহলে প্রতি পরিবারে ৫জন করে হলেও দেড় লক্ষ জন লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে এই গ্রুপ অব কোম্পানী থেকে। আবার ছোট ছোট অনেক স্টেকহোল্ডার/সরবরাহকারী এই বিশাল শিল্পে তাদের মালামাল সরবরাহ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তাই সকল ব্যবসায়ী নেতাদের কাছে আবেদন অনতিবিলম্বে যে কোন শিল্প/ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানে এ ধরণের হামলা/লুট এবং অগ্নি সংযোগ করতে যেন না পারে, তার জন্য বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে অতি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো ভাবে দাবী জানাচ্ছি। অপরাধ ব্যক্তির হতে পারে; কিন্তু অপরাধ কোন মিল/কারখানা/ইন্ডাষ্ট্রি/শিল্প প্রতিষ্ঠান করেনা, করতে পারে না।’