
দেলদুয়ারে তৈরি হচ্ছে ধুলো বালির রাজ্য।
সোহাগ, টাঙ্গাইল।
টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় দিন দিন দুর্ভোগের নগরীতে পরিণত হচ্ছে। কোনো মৌসুমেই নগরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে রাস্তাঘাটে চলাচল করতে পারছে না ধুলোবালির দুর্ভোগে।
দেলদুয়ারে সিলিমপুর বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা জানান রূপসীযাত্রা গ্রামের বাসিন্দা টাঙ্গাইল জেলা পৌরসভার সাবেক কমিশনার সবুজ নামে এক ব্যাক্তি ব্যাক্তিগত ভাবে এলংজানি নদীর অতি নিকটবর্তী জায়গায় থেকে বালু উত্তোলন করে সেই বালু দেলদুয়ারের সিলিমপুর বাজারের রাস্তা দিয়ে অবৈধ ট্র্যাফি গাড়িতে করে প্রতিনিয়তই নিচ্ছেন।
অবৈধ ট্র্যাফি গাড়ি চলাচলের জন্য টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় অবৈধ ট্র্যাফি গাড়ি চলাচলের কারণে অনেক বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সিলিমপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের দোকান এবং সাধারণ জনগণ ও মো আব্দুল করিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং রফিক রাজু ক্যাডেট কোচিং সেন্টার সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের ছোট ছোট শিশুরা শিকার হচ্ছেন ধুলোর।
দেলদুয়ারে সিলিমপুর বাজারের রাস্তা দিয়ে অবৈধ ট্র্যাফি চলাচলের সময় ধুলোবালি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় ধুলাবালি দূষণের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। ধুলোবালি দূষণে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, এলার্জি, চর্মরোগসহ নানা জটিল রোগ ব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ধুলো দূষণে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি একদিকে যেমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা হচ্ছে তেমনি আর্থিক ও পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির ওপর নৈতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় অবিলম্বে ধুলোবালি দূষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ধুলোবালি দূষণের কারণে শিশুদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেড়ে যায়। শিশুস্বাস্থ্য বিভাগে রোগীর প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগে ভর্তি হচ্ছে। অন্যদিকে ঢাকা মহানগরীর প্রায় ৯০ শতাংশ জনগণ ভয়াবহ ধুলোবালি দূষণের শিকার হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার সিলিমপুর বাজারের সকল ব্যবসায়ী সহ সাধারণ জনগণ টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের নিকট জোরদার দাবি জানিয়েছেন অবৈধ ট্র্যাফি গাড়ি চলাচল বন্ধ করার জন্য।