

দেবীদ্বার হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় পার্টির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
শাহ সাহিদ উদ্দিন, কুমিল্লা রিপোর্টার
কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার ৮ নং জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় পার্টির এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় কাজী আব্দুর সাত্তার খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি জাতীয় পার্টি ও সভাপতি দেবিদ্বার উপজেলা জাতীয় পার্টি,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো মফিজুল ইসলাম মাস্টার,দেবীদ্বার উপজেলা পার্টির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার এরশাদুল আলম, দেবীদ্বার উপজেলা সহ-সভাপতি সার্জেন্ট গিয়াসউদ্দিন,দেবীদ্বার উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক, দেবীদ্বার পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ শাহ আলম সরকার,৮নং জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম, সুলতানপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মজুমদার, দেবীদ্বার উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি মোহাম্মদ রবিউল হাসান রনি,দেবীদ্বার উপজেলা যুব সংঘতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল হোসেন পিন্টু সহ আরো বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন ১৯৮৮ সালে প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেন। তার এ ঘোষণায় মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
এছাড়াও সরকারিভাবে মসজিদের বিদ্যুতের বিল মওকুফ ও শুক্রবারকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণার কারণে মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে ক্রমেই প্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন এরশাদ।
ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে শুধু ঘোষণা দিয়েই আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেননি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন মৌলিক বিষয়ে ইসলামি নির্দেশনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
স্বাধীনতার পর থেকে দেশের সাপ্তাহিক ছুটি ছিল রোববার। মুসলমানদের বিশেষ ইবাদতের দিন শুক্রবারে কোনো ছুটি ছিলো না। যার কারণে জুমার নামাজে ভোগান্তিতে পড়তে হতো কর্মজীবিদের। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উদ্যোগেই সাপ্তাহিক ছুটি রোববারের পরিবর্তে শুক্রবার করা হয়।
২০১৭ সালের ২৫ মে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শরীয়াহ আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত একটি সেমিনারে অংশ নিয়ে এরশাদ বলেন, ‘আমি ইসলামের জন্য অনেক কিছু করেছি। শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটি, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম, মসজিদ-মাদ্রাসা-মন্দিরে পানি ও বিদ্যুৎ বিল মওফুক করেছি। ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বললে সহ্য হয় না। দেশকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের নেতৃত্বে বাকি ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হন। কথা দিলাম, আজীবন আমি আপনাদের সাথে থাকব।’
এছাড়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার স্বীকৃতি, সরকারি যাকাত বোর্ড ও যাকাত তহবিল গঠন, আলীয়া মাদ্রাসাগুলো এমপিও ভুক্ত করা ছাড়াও ইসলাম ও মুসলমানদের খেদমতে নানা অবদান রেখেছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।