

দেবীদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের কাঁধে বড় বোনের লাশ
শাহ সাহিদ উদ্দিন
কুমিল্লা রিপোর্টার
কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলা নবিয়াবাদ উত্তর পাড়া আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান বড় মেয়ে ছিলেন বিলকিস আক্তার। আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যানের চার ছেলে তিন মেয়ে এর মধ্যে বিলকিস আক্তার সবার বড়। তাহার মৃত্যু কালীন বয়স হয়েছিলো আনুমানিক ৪৭ বছর। সংসার জীবনে দুইকন্যা সন্তানের জননী বিলকিস অত্যন্ত হাস্যজ্জল ও বিনয়ী ছিলেন বিলকিস আক্তার। তিনি পরিবারের বড় বোন হিসেবে সবাইকে আগলিয়ে রাখার একটা আলাদা মনোভাব মনোবল রাখতেন প্রতিটি ভাই বোনের খোঁজখবরের
মাধ্যমে দায়িত্ব কাঁধেচড়ে নিজেদের মতো করে রাখতেন।তিনি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ১৬ নং মোহনপুর ইউনিয়ন অফিসের সিনিয়র অফিসার হিসেবে কাজ করতেন।
আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান বলেন বাবা মায়ের খুব আদরের মেয়ে ছিলো এই বিলকিস আক্তার। কোন দিন কারুর সাথে ঝগড়ায় যেত না তাকে আমি বি,এ পাস করিয়েছি কিন্তু কোন সরকারি চাকুরী দিতে পারি নাই। কিন্তু একটা কোম্পানিতে চাকুরী করতো আমার মেয়েটা। দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন এই বিলকিস আপা আমাকে বলতেন কবে তুমি এমপি হবে দেবীদ্বারের আপামর জনতা তোমাকে এতো ভালবাসে। তুমিই পারবে দেবীদ্বারকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে। আবুল কালাম আজাদ বলেন আজ ঈদের চতুর্থ দিনে বিলকিস বোনের লাশ কাঁধে করে নিতে হবে কখনো জানা ছিলো না।
হাজারো জনতার সমাগমে বিলকিস আক্তারের জানাজা শেষে আজ সকালে নবিয়াবাদ উত্তর পাড়া তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পুর্ণ করা হয়।
দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ’র বড়বোন বিলকিস আক্তার গতরাত সাড়ে ১২টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না লিল্লাহির রাজিউন)। সমবেদনা জানাতে উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা আবুল কালাম আজাদের বাসায় দুপুরে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর ওনার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবার এবং স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাজনৈতিক, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ।