
দেবীদ্বারে জনজীবনে চরম দুর্ভোগে তীব্র গরম ও অতিরিক্ত লোডশেডিং
শাহ সাহিদ উদ্দিন, কুমিল্লা রিপোর্টার
কুমিল্লার দেবীদ্বারে গরমের তীব্রতা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। দুর্ভোগ লেগেছে জনজীবনে। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন দেবীদ্বার উপজেলার বাসিন্দারা।
গরম বাড়ার পর থেকেই দেবীদ্বারে লোডশেডিং বাড়তে শুরু করে। গত কয়েকদিন ধরে দিনে রাতে নিয়ম করে বিদ্যুৎ থাকছে না।
গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ সমস্যা না থাকলেও দেবীদ্বার পৌর নির্বাচনের পর থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখে দিয়ে চরম আকারে।
এ অবস্থায় উপজেলার গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। রাতে নির্ঘুম কাটাচ্ছেন লোকজন। রাতে পাঁচ-ছয়বার করে বিদ্যুৎ যায়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় ধরে বিদ্যুৎ থাকছে না। হাসপাতালের রোগীরাও চরম কষ্ট পাচ্ছেন। স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যাহত হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও।
মোঃ মহিউদ্দির সুখু নামে পৌর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রাতে ঠিকমত ঘুমানো যাচ্ছে না। সন্ধ্যা রাতেও বিদ্যুৎ থাকে না। আবার ১২টা-১টার দিকে চলে যায়।আবার ফজরের আজানের পরও চলে যায়,বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমানোই দায় হয়ে দাড়িয়েছে। দিনেও নিয়ম করে লোডশেডিং হয়। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এ অবস্থায় সরকারের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছে দাবি, জনগণের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে দেবীদ্বারে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হোক।
বিদ্যুৎ ঠিক মতো না থাকায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরাও। তীব্র গরমে ক্রেতা পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। লোডশেডিংয়ের কারণে বিক্রেতারা ব্যবসা করতে পারছেন না। গরমে অসহায় হয়ে পড়ছেন উভয়ই। বিদ্যুৎ না থাকলে গরমে কেনা-কাটাও বন্ধ হয়ে যায় অনেকের।
দেবীদ্বার শহরের ব্যবসায়ীরা বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় কোনো কাজই করা যাচ্ছে না। একটি কাজ অর্ধেক থাকতেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে, এতে আরও বেশি ক্ষতি হচ্ছে। কেন এমন বিদ্যুতের ঘাটতি হচ্ছে, সে বিষয়ে মাইকিং করে কোনো ঘোষণা বা বার্তা দিচ্ছে না দেবীদ্বার পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ যে কোন সময় বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।
দেবীদ্বার সরকারি হাসপাতালের রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীদের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। প্রচণ্ড গরমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বাড়ছে। রোগীরাও একই তথ্য জানিয়েছেন।
দেবীদ্বার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম রেজাউল করিম জানান রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার প্রভাবে দেবীদ্বারের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের বরাদ্দ অনেক কম পাচ্ছি ২১ মেগাওয়াটের বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫ থেকে ১০ মেগাওয়াট। যে কারণে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না।সারা দেশেই লোডশেডিং হচ্ছে। দুয়েকদিনের মধ্যেই এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে ধারণা করছে ডিজিএম। অতিরিক্ত গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ। যে কারণেই এ সংকট দেখা দিয়েছে