
দুর্নীতির রাহুর গ্রাসে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ সার্ভিস প্রকল্প। লুটের নায়ক প্রকল্প পরিচালক রাজাকার পুত্র ডাক্তার আজিজুল।।
তদন্তে মাঠে নেমেছে দুদক।।
মন্ত্রণালয় একাধিক অভিযোগ।।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে হচ্ছে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারী পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদার করণ প্রকল্পের প্রতিটি এই চলছে হরিলুট।প্রকল্পের আওতায় Efluent Treatment Plant স্থাপনের জন্য ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বরে বিশেষ শর্ত দিয়ে মোট ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার দরপত্র আহ্বান করে এবং একটি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। জানামতে প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা সঠিক না থাকার পরেও কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়া তাকেই কার যাাদেশ প্রদান করা হয়। বিশেষ শর্ত না দিলে উক্ত কাজটি করতে সর্বসাকুল্যে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হওয়ার কথা। তারপরেও কার্যাদেশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সিডিউল মোতাবেক কাজ না করেও বিল নিয়ে গেছেন।
প্রকল্পের আওতায় অভ্যান্তরীণ রাস্তা নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর মোট ৩০ লক্ষ টাকার দরপত্র আহ্বান করে যাহার টেন্ডার আইডি নং-৬০৮৬৫৭ এবং কাশবন এন্টারপ্রাইজ কে কার্যাদেশ প্রদান করে। কাশবন এন্টারপ্রাইজের ৬” ঢালাইয়ের শর্ত থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি ৪”ঢালাই দিয়েই কাজ শেষ করে নিয়েছি বলে জানা যায়। কিন্তু ঐ একই কাজ বঙ্গবন্ধুর মুরালসহ করার জন্য প্রকল্প পরিচালক ডা.মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর দরপত্র আহ্বান করে যার আইডি নং-৭৪৪৫৬৪ এ সময় তিনি ৫৫ লক্ষ ২৩ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করেন। প্রকল্পের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর দরপত্র আহ্বান করেন মেসার্স রফিদ এন্টারপ্রাইজকে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি তাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয় এবং রফিদ এন্টারপ্রাইজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করেও চূড়ান্ত বিল প্রদান করেন প্রকল্প পরিচালক ডা. মোঃআজিজুল ইসলাম।কিন্তু ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর গেট নির্মাণ, গার্ড রুম তৈরির সাথে রফিদ এন্টারপ্রাইজের করা বাউন্ডারি ওয়ালের জন্যও ৭২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। রাস্তা ও বঙ্গবন্ধুর মরাল নির্মাণের ২৭ লক্ষ টাকার চেক প্রকল্প পরিচালক উত্তোলন করেছেন বলে জানা যায়। গেট ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ ব্যয় ৭৫ লক্ষ টাকা।
সূত্র থেকে জানা যায় এই প্রকল্প থেকে প্রকল্প পরিচালক আজিজুল ইসলামের পকেটে ঢুকেছে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। ৮ মাস সকল কাজেই উপর স্থগিত আদেশ থাকার পর কেন কিভাবে আবার সেই কাজের মৌখিক আদেশ দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্নের। ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শ ম রেজাউল করিম বরাবর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জনস্বার্থ সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদার করণ প্রকল্পের দুর্নীতি তদন্তের জন্য একজন ঠিকাদার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মৎস্য ও সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ড.নাহিদ রশিদ কে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডঃ মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ সংরক্ষিত এক আদেশে বলা হয় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদার করুন প্রকল্পের তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল দরপত্রের কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে সভাপতি ও মৎস্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবুল হোসেন কে সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহমুদাকে সদস্য সচিব করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয় বলে জানা যায়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদার করণ প্রকল্পের না না অনিয়মের অভিযোগে গত বছরের ১৩ নভেম্বর ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সকল দরপত্র কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটি নানা অনিয়ম পেলেও তা কোন কাজে দেয়নি বলে জানা যায়। তদন্ত কমিটির এক সদস্যকে পেনশন আটকানোর হুমকিও দেওয়া হয়।
কিন্তু ৮ মাস পরে ৩০ লক্ষ টাকার অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে কাজ করার মৌখিক অনুমতি বাগিয়ে নেন প্রকল্প পরিচালক ডা.আজিজুল ইসলাম।তদন্ত কমিটির সদস্য ও মৎস অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদার করেন প্রকল্পে সত্য প্রতিবেদন দিয়েছি কিন্তু কেন তদন্ত শেষ না হওয়ার আগেই কাজের মৌখিক অনুমতি দেওয়া হল এটা আমার জানা নেই। সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়ম প্রকল্পের অর্থ লোপাট এবং আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন অবৈধ ধন সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিপস সায়েন্টিফিক অফিসার (চলতি দায়িত্ব) ও জনসাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদার করুন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডঃ মোঃ আজিজুল ইসলামকে তলব করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
এদিকে ডাক্তার মোহাম্মদ ইমরান হোসেন খান সভাপতি বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদ দুর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালক আজিজুল এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বরাবর ০২/০৫ /২০২৩ তারিখে লিখিত অভিযোগ করে দুর্নীতিবাজ পিডি আজিজুলের বিরুদ্ধে এফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডার্স এর প্রোপাইটার গত ১৯/০৯/২০২৩ ইং তারিখে সচিব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সচিবালয় বরাবর একখানা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেণ। এই বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ডাক্তার আজিজুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক সরেজমিন বার্তাকে জানান সম্পূর্ণ ভুয়া ও অসত্য কথা লিখে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের শেষ সিন্ডিকেট চক্র আবার সক্রিয় শতভাগ কাজ সম্পন্ন না করে বিল দেওয়ার কোন সুযোগ নেই আলাদা আলাদা প্যাকেজ টেন্ডার করা হয়েছে।একক কোন কাজ ডিপিপির বাইরের টেন্ডার আহ্বানের কোন সুযোগ নেই।