
মোস্তফা কামালঃ
সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোঃ ইকবাল বাহার। তবে তার এই নিয়োগ নিয়ে জনমনে ব্যাপক গুঞ্জন দেখা দিয়েছে। কারণ, তার অতীত কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রশ্নে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
তিনি আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ সময় বিচার বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। ২০২০ সাল থেকে পাঁচ বছর তিনি রাজশাহীতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি ২৬২/০৭ (চারঘাট) নম্বর মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে বেআইনিভাবে কারাদণ্ড দেন।
এর আগে ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জয়পুরহাট জেলা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এনজিআর ০৮/১৭ (জয়পুরহাট) নম্বর গায়েবী মামলা গ্রহণ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তার আগেও শেরপুর জেলায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালে বিরোধী দল দমনে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন।
২০১৮ সালের বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপি-জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মীকে বেআইনীভাবে আটকাদেশ ও রিমান্ডে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাজশাহী, জয়পুরহাট ও শেরপুর জেলার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা এখনও তার নাম শুনলে আতঙ্কিত হন।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও আইন সচিব গোলাম সরোয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মোঃ ইকবাল বাহারকে কার স্বার্থে দুদকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো, তা নিয়ে বিচার বিভাগ ও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। তার অধীনে দুর্নীতির তদন্ত কতটা নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।