
কাজী হাবিব উল্লাহ রানা, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলার বাস স্টেশন সংলগ্ন লারমা স্কোয়ার ও বটতলা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামুন হত্যার প্রতিবাদে ১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়।
বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে লারমা স্কোয়ারে চাকমা ও বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে দিয়ে তৈরি হয় সংঘর্ষ।
এদিকে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে দুবৃত্তের দেওয়া আগুনে লারমা স্কোয়ার ও বটতলা বাজারে আগুনে পুড়েছে শতাধিক দোকান।
এ ঘটনা উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে তৈরি হয় আতঙ্ক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরে করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি।
দীঘিনালার এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পার্বত্য জেলা গুলোতে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র জনতার ডাকা ৭২ ঘন্টার অবরোধ শেষ হয়েছে। অবরোধের তৃতীয় দিনেও দীঘিনালার সাথে দূরপাল্লার সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিলো।
এদিকে গত ২১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকেলে দীঘিনালায় পুড়ে যাওয়া লারমা স্কয়ার বাজার পরিদর্শন শেষে ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগীতার আশ্বাস দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
ঘটনার ৫ম দিনে দীঘিনালা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক নুর উদ্দিন বাদী হয়ে ফৌজদারি আইনের অমান্য করে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধে মারাত্বক অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া দাঙ্গা সংঘটন, হত্যা উদ্দেশ্যে মারধর, ক্ষতিসাধনে অগ্নিকাণ্ড ও হত্যা করার অপরাধে মামলা দায়ের করেন।
এ সময় মামলার এজাহারে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
দীঘিনালা থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ওসি মো. নুরুল হক, জানান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত বিক্ষোভ মিছিল করা হয়৷ সংঘর্ষ ও বাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত করে আসামিদের আটক করা হবে।