দশমিনা (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় ঘন্টার পর ঘন্টা পল্লি বিদ্যুৎতের লোডশেডিং অতিষ্ট হয়ে উঠেছে দশমিনাবাসী। কিছুটা ভ্যাপসা কিছুটা স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকলেও প্রতিদিন বেড়ে চলেছে পল্লি বিদ্যুৎতের ভয়ানক লোডশেডিং পল্লি বিদ্যুৎতের ভেল্কীবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে উপজেলার শহর থেকে শুরু করে গ্রামবাসী পর্যন্ত। দিনে মাথার উপর তপ্ত সূর্য থাকলেও ঘন্টায় ঘন্টায় উধাও হয়ে যায় বিদ্যুৎ আর রাতের বেলায় ঘরের ভেতর বাতাসের ভ্যাপসা অনুভূতি, স্বস্তি মিলছেনা দিনে বা রাতে কোথায়ও। দুপুর , বিকেল, সন্ধ্যা এবং সারা রাত কিংবা ভোরের দিকেও কোন নিয়ম মানছেনা বিদ্যুৎতের চোর পুলিশ খেলার লুকোচুরি। গতকাল বুধবার সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে উপজেলার বিভিন্ন যায়গায় সারা রাত ছিলনা বিদ্যুৎ।ভ্যাপসা গরমের মধ্যে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে সাধারন মানুষের মাঝে ক্ষোপ দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ের কারনে বিপাকে পড়েছে অটো রিক্সাচালক, দোকানিরা এবং বাদ যায়নি শ্রমিকরাও।
এদিকে বহরমপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের মোঃ জাকির হোসেন ও রুবেল হোসেন বলেন, সারাদিন বিদ্যুৎ যে তাল তামাশা করে এর চেয়ে আদী যুগের সোলারই ভালো ছিলো। কারেন্ট অফিসে ফোন দিয়ে কারেন্ট না থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে তাদের মোবাইল ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যস্ত থাকে, আবার মোবাইলে কল গেলে কেউ ফোন রিসিভ করে না। আজ সারারাত তো বিদ্যুৎ ছিলোই না।
রনগোপালদী ইউনিয়নের রবিউল হাসান, কবির হোসেন এবং পাতারচর থেকে বাছির উদ্দীন বলেন, ঘরে ঘরে দেয়া বিদ্যুৎ তা এখন প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে রাতের ঘুম। সারাদিনে রোজগার শেষে বাসায় গিয়ে একটু স্বস্তির আশা করলে বিদুৎতের দেখা মিলছেনা কোন ভাবেই। বিদ্যুৎতের দুর্ভোগ আর সহ্য হয়না।
এবিষয়ে দশমিনা পল্লি বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলে অফিস কর্মরত জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র মোঃ লোকমান হোসেন বলেন, গ্রীন পাওয়ার স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ পাইনা যার কারনে লোডসেট করতে হয় চাহিদার তুলনায় সর্বরাহ কম তাই দুই তিন দিন পর্যন্ত লোড সেট দিচ্ছি। ত্রুটির সমাধান কত দিন লাগবে তা জানা নাই।