মোঃ রিপন হাওলাদার
রাজধানীর যাত্রা বাড়ী দনিয়া এলাকায় রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই তিন তলা পুরাতন বাড়ির আরো তিন তলার বর্ধিত অংশ নির্মাণ করলো ভবন মালিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দনিয়া এলাকা ইউনিয়ন পরিষদ থাকার সময় পরিষদ থেকে তিন তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন নেয় ভবন মালিক রমিজ উদ্দিন গং।সদ্য ইউনিয়ন থেকে সিটি কর্পোরেশনে অন্তরভূক্ত হলে রাজউকের আওতাধীন তদারকি এলাকায় পরিণত হয় উক্ত এলাকা।
রাজউকের আওতাভুক্ত এলাকায় কোন ধরনের ভবন নির্মাণ কাজ করতে হলে ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে তা করার বিধান থাকলেও ১০৬ রসুল পুর দনিয়া এলাকার একটি পুরনো ভবনের মালিক রাজউকের নজর এড়িয়ে তার ভবনের বর্ধিত অংশের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
রাজউকের বৈধ নকশা অনুযায়ী ভবনটির নির্মাণ কাজ করা হয়েছে কি না এ বিষয়ে রাজউক কর্তৃপক্ষ ভবন মালিককে রাজউক অনুমোদিত নকশা (মন্জুরী) দাখিলের জন্য একটি নোটিশ প্রদান করে।
নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ভবন মালিক বৈধ নকশা দাখিল না করে বর্ধিত অংশের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছে। রাজউকের নোটিশ উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে জানতে ভবন মালিক রমিজ উদ্দিন গং এর সাথে কিছু দিন আগে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার বাড়ির তদারকির দায়িত্ব থাকা আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির সাথে মোবাইলে কথা হয়।আসাদ বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমোদন নিয়েছি।
আমরা এখানকার যারা বাসিন্দা অধিকাংশ সল্প আয়ের মানুষ তাঁরা সবাই এভাবেই করেছে। রাজউকের নোটিশ পেয়েছি কিন্তু তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি, আসলে কি ভাবে কি করবো বুঝতে পারছি না। আমরা যারা পুরাতন বাড়ি করে ফেলেছি তাদের কি রাজউক অনুমোদন দিবে।
গত ১৬-১০-২৩ ইং তারিখ রসুল পুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায় রাজউকের নোটিশ জারি করা ভবনটির পরিপূর্ণ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।দনিয়া এলাকার দায়িত্বে থাকা রাজউক জোন-৮ এর ইমারত পরিদর্শক শফিউল্লাহ’র সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানালে তিনি নোটিশ জারি করা ভবনটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিস্তারিত জানাবেন। তাকে জানানোর দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হয়ে গেছে ভবনটির বিষয়ে রাজউক কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানা যায়নি।