মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন-এক সময়ের ভ্যান গাড়ি চালক এখন বায়েজিদ বোস্তামি থানার ক্যাশিয়ার। শাহজাহান আকাশ আলাদিনের চেরাগ পেয়ে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক,থানা পুলিশের আশীর্বাদে দমানো যাচ্ছে না বায়েজিদ বোস্তামী থানার এ চাঁদাবাজকে। তার নিয়ন্ত্রণে যেন বায়েজিদ এলাকায় চলছে আরেকটি উপ-থানা। অত্র এলাকার সচেতন নাগরিকরা বলছেন, বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি সাহেব আকাশ না হলে তার এত ক্ষমতা কেন, বায়েজিদকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য করে রেখেছে এই আকাশ।
সূত্র হতে জানা যায়, নোয়াখালী থেকে অভাব অনটনে চট্টগ্রাম শহরে আসেন এই আকাশ। অভাবের তারনায় রিকশা ভেনগাড়িও চালিয়েছেন। ফেরিওয়ালা থেকে যখন যে কাজ পেয়েছেন সে কাজ করলেও বর্তমানে তিনি পেয়েছেন আলাদিনের চেরাগ। দৈনিক সকালে ২০টি ও রাতে ২০টি ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহন করা তার রুটিনে পরিণত হয়েছে।
ছিন্নমূলের স্কুল মাঠের পাশে রয়েছে তার বিশাল ৩ তলা বাড়ি, মোহাম্মদ নগরে রয়েছে বায়েজিদ থানার পুলিশ কর্মকতাদের সাথে যৌথভাবে নেওয়া ফ্ল্যাট, এছাড়াও আলিনগরে রয়েছে সেমিপাকা ঘরের বস্তি যেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তার ইনকাম হয় তার। এই ইনকামের থেকেই তাঁরা গেইট, বছর খানেক আগে সিটি কর্পোরেশন থেকে কিনেছেন ১২টি বিশাল দোকান। সেই দোকানে নামি-দামি ব্যান্ড, ওয়াল্টন-মার্সেল থেকে নিয়েছেন ডিলারশীপ। দোকানে বর্তমানে তার পূজি আনুমানিক ৮০ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে রয়েছে নামি দামি ব্যান্ডের, মোটরসাইকেল তবে এসবের পিছনে নেই তার কোন আয়- ব্যয়ের হিসাব।
তথ্যমতে, অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড, ব্যাটারী চালিত রিকশার টোকেন, অবৈধ কারখানা, ভেজাল পন্য, মাদক, পাহাড় কাটা, পতিতালয় থেকে শুরু করে মাদকদ্রব্য অবৈধ ও চোরাচালান পন্য বহনকারী পরিবহন থেকে নিয়মিত থানা ও ট্রাফিক বক্সের কর্তাদের নামে চাঁদা আদায়কারী এক কথায় স্থানীয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের গড ফাদার হলো এই শাহজাহান প্রকাশ ‘আকাশ’।
আরো তথ্যমিলে এই আকাশের হয়ে বায়েজিদ থানা এলাকায় কাজ করে, পাঁচলাইশ থানার বাবুর্চি নোয়াখালীর হানিফ, জসিম। জসিম বায়েজিদ থানার সামনে ভিপি লিটনের গল্লিতে ইয়াবা গাঁজা বিক্রি করে। এই জসিমের বাইরে গিয়ে কেউ মাদক কিনতেও পারেনা বিক্রি করতেও পারেনা। হানিফের দখলে রয়েছে রুবিগেট, টেক্সটাইল, শেরশাহ, বিশ্বকলোনি, আরিফিন নগর, মোহাম্মাদ নগর, রুফবাদ, ছিন্নমূল, বাংলা বাজার, লিংকরোড, নয়ারাস্তা, টেনারিবটতল, বালুছড়া, অক্সিজেন মোড়। আকাশকে টাকা না দিলে কোন গাড়ি, অবৈধ মোটর রিকশা, ফুটপাতে ব্যবসা, কোন মাদক ব্যবসা করা সম্ভব না এই এলাকায়। সোর্স আলাউদ্দিনের কাজ করে আকাশের হয়ে মোহাম্মদ নগর এলাকা নিয়ন্ত্রণ এবং থানার সামনে ডিউটি করা জামালের কাজ মিথ্যা ও পেন্ডিং মামলায় ক্যাশিয়ার আকাশের বিরোধীদের ফাঁসানো।
অনুসন্ধানে আরও উঠে আসে বার্মা কলোনিতে চলে আকাশের অবৈধ ইয়াবার রমরমা ব্যবসা।এ বিষয় বরাবরই অস্বীকার করে এই কথিত ক্যাশিয়ার শাহজাহান প্রকাশ আকাশ। তবে তার হটাৎ বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎসের বিষয়ে কোন যৌক্তিক পথ দেখাতে পারেননি তিনি। কিন্তুু প্রশ্নের জবাবে ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করার কথা এড়িয়ে গেলেও থানার সাথে তার ভালো পরিচয় থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয়কুমার সিনহা জাতীয় দৈনিক সরেজমিনের প্রতিবেদককে বলেন, আমি যখন থেকে যোগদান করেছি বায়েজিদ থানায় কোন প্রকার অপরাধ কর্মকান্ডকে আশ্রয়- প্রশ্রয় দিচ্ছি না। অপরাধী যে হোক না কেন আমরা তাকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করছি। কোন প্রকার অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। বায়েজিদ এলায় বর্তমানে ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবস্যায়ী নেই বললে চলে। তবে অভিযুক্ত ক্যাশিয়ার শাহজাহান প্রকাশ আকাশ, হানিফের বিষয়ে তিনি বলেন, বায়েজিদ থানায় ক্যাশিয়ার বলতে কিছু নেই। কেউ যদি থানার নাম দিয়ে অপরাধ করে তাহলে যেন সরাসরি তার নিকট অভিযোগ জানানো হয়। আর এদের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করুন অভিযোগ পেলে কেউই রেহাই পাবে না বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তথ্যমতে, থানায় তার কথায় উঠে বসে এমন কিছু অফিসার থেকে শুরু করে নতুন করে আসা কর্মকর্তাদের নতুন বাসায়
প্রয়োজনীয় সকল ইলেকট্রনিক পণ্য যায় তার সেই ” “তারা”গেইটের দোকান থেকেই।