নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম ও ব্যাংকের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ব্যাংকাররা। আন্দোলন আরো কঠোর আকার ধারণ করে কি না এমন ভীতি থেকে ব্যাংকের এটিএম এবং এজেন্ট পয়েন্টগুলো থেকে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা তুলে রাখছেন তারা।
গতকাল রবিবার এলাকাভেদে কিছু এটিএম বুথে নেটওয়ার্ক জটিলতা থাকায় বুথের শাটার ফেলানো এবং টাকা শেষ হওয়ার ঘটনায় ব্যাংকের বুথ এবং এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে ছোটাছুটি এবং দৌড়ঝাঁপ করেছেন গ্রাহকরা। কেউ কেউ এক বুথ থেকে অন্য বুথে ছোটাছুটির পরেও টাকা তুলতে না পেরে খালি হাতে ফিরেছেন। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বেশ কয়েকজন গ্রাহক জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যাংকের বুথে গিয়ে টাকা তুলতে পারেননি। দেখেন শাটার ফেলানো। অবশেষে নিরুপায় হয়ে টাকা না তুলেই বাসায় ফিরে গেছেন। তারা জানান, এর আগে কারফিউকালে হঠাৎ ব্যাংক বন্ধ থাকায় নগদ টাকার সংকটে পড়তে হয়েছিল। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নগদ টাকা বেশি করে তুলে রাখতে হচ্ছে। কিন্তু কিন্তু অনেক ব্যাংকের বুথে টাকা নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, আতঙ্কের কিছু নেই। গ্রাহকের আতঙ্কের কারণে বেশি টাকা তুললে সেটা নিয়ে কিছু করার নেই। ডিজিটাল লেনদেনের স্বার্থে ব্যাংকগুলোর বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশনা আগে থেকেই দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যদি অস্বাভাবিক লেনদেন হয় সে ক্ষেত্রে তো সমস্যা হবে। আর নেটওয়ার্ক জটিলতার বিষয়টি ব্যাংকগুলোর নিজস্ব বিষয়। আর কোনো ব্যাংকের লেনদেনসহ যাবতীয় অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিই। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর ভোল্টসহ সব শাখা-উপশাখায় নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
(সুত্রঃ ইত্তেফাক)