নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকায় গণপূর্তের তৃতীয় শ্রেণীর এক কর্মচারীর চার ফ্লাটের সন্ধান পাওয়া গেছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট গুলোর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।
খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায়, আলোচিত ঐ কর্মচারীর নাম মো. ফয়জুল কবির শিহাব। তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান শাখায় কর্মরত এবং
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সওস) ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ)।
সূত্র বলছে, শিহাব গণপূর্ত অধিদপ্তরের মিরপুর সার্কেলে কর্মকালীন সময় থেকেই নানা ফন্দি ফিকিরের সাথে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান শাখায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর ব্যক্তিগত সহকারীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েই আলাদিনের চেরাগ হয়ে উঠেন।
অভিযোগ আছে, ঢাকার খিলগাঁও থানার রিয়াজবাগ মহল্লার যে ভবনটিতে শিহাব ফ্লাইটগুলো রয়েছে সেই ভবনটি গণপূর্ত ভবন নামেই বেশ পরিচিত।
হাফিজুর রহমান শফিক নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভবনের প্রতিটি ফ্লাটের মালিক গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারীগন। এখানে অন্যকোনো পেশার মানুষের ফ্লাট কেনার সুযোগ নাই। তবে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাসের সুযোগ রয়েছেন।
সূত্র বলছে, সাড়ে তিন শতাংশ জমির উপর গড়ে উঠা ছয়তলা ভবনের তিনটি ফ্লোরের চারটি ফ্লাটের মালিক শিহাবের পরিবার।
ফ্লাট গুলো যথাক্রমে ছয়, পাঁচ এবং চতুর্থ তলায়।
এরমধ্যে ৬ তলায় দুটি এবং পঞ্চম ও চতুর্থ তলায় একটি করে। প্রতিটি ফ্লাট ভাড়া দেয়া আছে অন্য ব্যক্তিদের। হয়রানি এড়াতে শিহাব নিজেও এই বিল্ডিং এ ভাড়ায় থাকেন। সেই সাথে বিভিন্ন সংস্থার চোখ ফাঁকি দিতে ফ্লাটের রেজিষ্ট্রেশন বাবা-মায়ের নামে করান। ফ্লাইটগুলো থেকে মাসে ৬৭ হাজার টাকা ভাড়া আদায় হয়।
মো.ফয়জুল কবির (শিহাব) নিজেও দাবি করেন, এই সম্পত্তির মালিকানার কোথাও তার নাম নেই। সেই সাথে তিনি দাবি করেন, আমি ক্ষুদ্র একজন কর্মচারী; আমাকে নিয়ে প্রতিবেদন কইরা কোন লাভ হবেনা।
অভিযোগ আছে, সম্প্রতি গণপূর্তের তৃতীয় শ্রেণীর কয়েকজন কর্মচারী মিলে ছয় তলা ভবনটির কাজ সম্পূর্ণ করেছেন।
মো.ফয়জুল কবির (শিহাব) এর বাবা একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
দূর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন সংস্থার চোখ ফাঁকি দিতে সব কিছুর মালিকানায় বাবা-মায়ের নাম দিয়ে রেখেছেন তিনি।
শিহাবের ভাই আমিনুলও উক্ত ভবনে বসবাস করেন এবং তিনিও গণপূর্তের একজন কর্মচারী (টাইপিস্ট)