চট্টগ্রাম ব্যুরো– মশার বাসস্থান খুঁজতে ড্রোন ওড়াল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এবং ধরা পড়ল বিভিন্ন বহুতল ভবনের সুইমিংপুল আরছাদবাগানে জমে থাকা পানিতে গড়ে ওঠা মশার আবাসস্থল।
রোববার (৯ জুলাই) নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে চালানো অভিযানে উঠে আসে এ চিত্র। এতে ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ৭টিভবনকে।অন্যান্য ভবন মালিকদের সতর্ক করা হয়। সচেতনতা সৃষ্টিতে লিফলেট দেয়া হাজারো নাগরিককে।
অভিযানে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা আজকে ড্রোন দিয়ে বহুতল ভবনগুলোর ছাদপর্যবেক্ষণ করে প্রায় সবগুলো ভবনের ছাদেই পানি জমে থাকতে দেখেছি। আজ সবাইকে ডেকে সতর্ক করছি, পরবর্তীতে উনারা জমে থাকা পানিনা সরালে জরিমানাসহ কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিব।
‘আমরা ৪৩৫টি ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে লার্ভিসাইডসহ বিভিন্ন মশা নিধনকারী ঔষধ ছিটাচ্ছি। তবে এক্ষেত্রে সাফল্যপ্রাপ্তিতে বড় বাধাহয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু অসচেতন বাড়ি মালিকের ছাদে জমে থাকা পানি। বিশেষ করে সুইমিংপুল আর ছাদবাগানগুলো মশার নিরাপদ আবাসস্থলহয়ে উঠেছে। অনেক বাড়ির মালিক আবার নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের কর্মীদের ছাদে উঠতে দেননা। আমরা মশার ঔষুধ ছিটাচ্ছিনালা–নর্দমায় কিন্তু আবাসিক ভবনগুলােই হয়ে উঠছে মশার বড় আবাসস্থল। তাই বাধ্য হয়ে ড্রোন দিয়ে ছাদ পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে। ’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম,জেসমিন পারভীনজেসীসহ নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি কল্যাণ পরিষদের নেতারা।